Paschim Medinipur: কার্যালয় দখল করেই দুই ছেলের নামে করে দিলেন দাপুটে নেতা! রাজনীতিতে আর কী হয়!

Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কোন্নগর পোস্ট অফিস মোড়ে  ১৯৭১ সাল থেকে স্থানীয় কংগ্রেসের একটি কার্যালয় রয়েছে এখানে। আর সেই কার্যালয়ের জায়গা এক সময়ের কংগ্রেস নেতা জগন্নাথ গোস্বামী নিজের দু'ছেলের নামে করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Paschim Medinipur: কার্যালয় দখল করেই দুই ছেলের নামে করে দিলেন দাপুটে নেতা! রাজনীতিতে আর কী হয়!
পার্টি অফিসই দখল করে নেওয়ার অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 20, 2023 | 10:14 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর:  কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ও জায়গা নিজের দু’ছেলের নামে করার অভিযোগ উঠল দাপুটে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সাসপেন্ড করল ঘাটালের দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া দাপুটে কংগ্রেস নেতা জগন্নাথ গোস্বামীকে। পাল্টা জেলা সভাপতি সমীর রায়ের বিরুদ্ধে, মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কংগ্রেস নেতাদের এই কাজে পড়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কোন্নগর পোস্ট অফিস মোড়ে  ১৯৭১ সাল থেকে স্থানীয় কংগ্রেসের একটি কার্যালয় রয়েছে এখানে। আর সেই কার্যালয়ের জায়গা এক সময়ের কংগ্রেস নেতা জগন্নাথ গোস্বামী নিজের দু’ছেলের নামে করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

কে এই জগন্নাথ গোস্বামী?  কখনও জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি, কখনও বা ঘাটাল পৌরসভার কংগ্রেসের চেয়ারম্যান। ঘাটালে এলডিপিও পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আর সেই কংগ্রেস নেতা নাকি নিজের দুই ছেলের নামে কংগ্রেস দলীয় কার্যালয়টিই দখল করে নিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায়, জগন্নাথ গোস্বামীকে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করলেন। সেই সঙ্গে লিখিত আকারে এক মাসের মধ্যে কেন তিনি কার্যালয়টি নিজের ছেলেদের নামে করেছেন তার কারণ দর্শানোর অনুরোধ করেন। এমনকি ঘাটাল কংগ্রেস কার্যালয় পুনরায় কাগজপত্র সংশোধন করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায়ের দাবি, ঘাটালের মনসুকা অঞ্চলের দীর্ঘদিনের কংগ্রেস সমর্থক কমল ঘোষ তাঁর ওই ঘরটি যৎ সামান্য টাকায় ভাড়া দেন কংগ্রেস কার্যালয়ে ব্যবহারের জন্য। পরবর্তীকালে কংগ্রেস কর্মী সমর্থক আর্থিক সহযোগিতায় কার্যালয়টিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল। হঠাৎ করেই বিগত লোকসভা নির্বাচনে সময় জগন্নাথ গোস্বামী বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু প্রার্থী হতে না পারায় ফের কংগ্রেসে ফিরে আসেন। আসার পরে পুনরায় জেলা কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে ঘাটাল সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করে চলেছিলেন। আর তিনিই নাকি কংগ্রেসে ফিরে চক্রান্ত করে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে কংগ্রেস কার্যালয় টি নিজের দুই ছেলের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগন্নাথ গোস্বামী। তাঁর দাবি, “সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য, ওঁর তথ্য সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই, সমস্ত সঠিক কাগজপত্র তথ্য আমার কাছে রয়েছে, তাই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আমি মানহালির মামলা করব।” তবে গোটা ঘটনায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল।