পশ্চিম মেদিনীপুর: সন্ধ্যায় পাড়ার গলি দিয়েই বাজারে যাচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব মহিলা। পাড়ার অন্ধকার গলি দিয়েই বাজারে যেতে হয়। আর সেখানেই সন্ধ্যার পর থেকে বসে মদের আসর। সোমবার সন্ধ্যায় ওই মহিলা যখন গলির মুখে আসেন, তখনই অন্ধকারে বয়স্ক মহিলাকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন কয়েকজন। তারপর টানতে টানতে তাঁকে নিয়ে যান মাঠে। সেখানেই তাঁকে ফেলে বেধড়ক ‘মারধর’! অভিযোগ ঘিরে সরগরম পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার কিসমত রাধাকান্তপুরের মণ্ডল পাড়ায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ওই মহিলাকে মারধর করা হল? পরিবারের দাবি, অভিযুক্তদের চিনতে পেরেছেন নিগৃহীতা মহিলা। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নিগৃহীত পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষাটেকের ওই মহিলা সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে যাচ্ছিলেন। ওই মহিলার স্বামীর বয়ান অনুযায়ী, দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় তিনি রাস্তায় খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তাতে দেখতে পাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে স্ত্রীর সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি।
গ্রামের রাস্তা ধরেই এগোতে শুরু করেছিলেন তিনি। সেসময় মাঠের মধ্যে থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর চিৎকার শুনেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারপর ওই বয়স্ক মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত ছিল। বর্তমানে তিনি দাসপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে যাওয়ার পথেই ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে মত্ত কয়েকজন যুবক রাস্তা থেকে টেনে ঝোপে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। কিন্তু তিনি এতটাই চিৎকার করেছিলেন, যে বেশি কিছু হওয়ার আগেই তাঁরা ফেলে পালিয়ে যান। কিন্তু কেন? সেটাই তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। এদিকে, নিগৃহীতার মেয়ে জানিয়েছেন, তাঁর মা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয় নিয়ে দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে দাসপুর থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি।
নিগৃহীত স্বামী বলেন, “দোকান গিয়েছিল। মাঠের মাঝখানে ওকে ধরে টেনে নিয়ে যায়। তারপর জমির মাঝে গিয়ে ধরে। ওর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ও সবাইকে চিনতে পেরে গিয়েছে।” কী কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের তরফ থেকে সম্পত্তি নিয়ে একটি বিবাদের বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে, সেই দিকটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।