দাসপুর: ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতে বসবাস। তবুও আবাসের তালিকায় নেই নাম। যাঁদের রয়েছে পাকার বাড়ি,তাঁদের রয়েছে আবাসের তালিকায় নাম। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অবাসের সার্ভে করতে আসা পঞ্চায়েতের কর্মীরা। তাঁদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকাবাসী। প্রসঙ্গত, আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলায় টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন এই টাকা রাজ্য সরকারই দেবে। কিন্তু তারপরও সেই একইভাবে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ধর্মা গ্রামের ঘটনা। সার্ভে করতে আশা কর্মীদের কাছে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামের মানুষের প্রশ্ন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতে বসবাস করলেও আবাসের তালিকাতে কেন নেই নাম? এলাকার এক মহিলা বলেন, “লোকজনের দোতলা বাড়ি। তাঁদের তারপরও বাড়ির টাকা দিচ্ছে। আমাদের ঘর নেই আমাদের দিচ্ছে না। আমাদের দেখছে বাড়ি নেই তারপরও বলছে না তোমাদের ঘর আছে। বাড়ির দশা দেখেও বাড়ি দিচ্ছে না।”
এ বিষয়ে দাসপুরের সিপিআইএম নেতা রাধেশ্যাম দোলই বলেন, “যাঁরা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছে না,যাঁরা পাওয়ার যোগ্য নয় তাঁরা পাচ্ছে বাড়ি। আবাস নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। এলাকার বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা ও একই অভিযোগ করেছেন।” বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলেছেন।