পশ্চিম মেদিনীপুর: বেশ ভাল পোশাকেই মেলার ভিড়ে মিশেছিলেন তাঁরা। দৃশ্যত বোঝার উপায় নেই। বিশ্বকর্মা পুজোর মেলায় তখন লোকে লোকারণ্য। হঠাৎই এক জনের চিৎকার। ‘পকেটমারি হয়েছে…’ খবর চাউর হতেই ভিড়ের মধ্যে সজাগ হন অনেকেই। অনেকেরই তারপরই একই কথা! তাঁদেরও পকেটমারি হয়েছে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মেলায় একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শেষমেশ মেলার ভিড়ে মিশল সাদা পোশাকের পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও ৭ মহিলা।
বছরে একবার দাসপুর থানার বলিহারপুর ও পুরুসত্যমপুর এলাকায় বিশ্বকর্মাপুজোর দিন গেঁড়িবুড়ির মন্দির চত্বরে গেঁড়িবুড়ি পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। কোভিডে গত দু’বছর সেভাবে মেলা বসেনি। এবছর মেলা জনজোয়ারে পরিণত হয়।
শনিবার রাতে মেলায় ভিড়ের সুযোগেই একের পর এক পকেটমারির ঘটনা ঘটতে থাকে। চোখের পলকে একাধিক জনের উধাও হতে থাকে টাকার ব্যাগ,মোবাইল। খবর যায় দাসপুর থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। এক মহিলাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। তারপরই ধরা পড়ে তার গ্যাং। একেবারে হাতে নাতে ধরা পড়ে আরও ৬ মহিলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ৭ মহিলাই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত হলে লোকের ভিড়ে ঢুকে টাকা মোবাইল ছিনতাই করাই তাদের মূল কাজ। ওই মহিলা পকেটমারদের সঙ্গে কয়েকজন পুরুষও ছিল। তবে তারা নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।