Fraud Case: ক্রেডিট কার্ডের নামে ফোন, কথার ফাঁকে গায়েব ২০ হাজার টাকা

Fraud Case: পার্বতী দাবি করেন, তিনি যখন ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন, তখনই মোবাইলে পরপর দুটি মেসেজ আসে। মেসেজে দেখা যায় দু'দফায় টাকা কাটা হয়েছে। প্রথম দফায় ৯৭২৮ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৯৭৮০ টাকা।

Fraud Case: ক্রেডিট কার্ডের নামে ফোন, কথার ফাঁকে গায়েব ২০ হাজার টাকা
ক্রেডিট কার্ডের নামে ফোন করে প্রতারণাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 26, 2023 | 11:45 AM

চন্দ্রকোণা: ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে গ্রাহককে ফোন আর তারপরেই মোবাইলে আসে দুটে মেসেজ। অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দফায় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা গায়েব। আবারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার পৌরসভার আলামপুরের। যদিও ব্যাঙ্কের দাবি আধার কার্ডের মাধ্যমেই এই টাকা জালিয়াতি হয়েছে।

চন্দ্রকোণা পৌরসভার আলমপুরের বাসিন্দা পার্বতী মাইতি। তাঁর বক্তব্য,কয়েকদিন আগেই তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন আসে। তাঁকে বলা হয়, তাঁর নামে একটি নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। সেটি তাঁকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু পার্বতী তাঁদের জানিয়ে দেন, তিনি কোনওরকমের ক্রেডিট কার্ড নিতে ইচ্ছুক নন। এটা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

পার্বতী দাবি করেন, তিনি যখন ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন, তখনই মোবাইলে পরপর দুটি মেসেজ আসে। মেসেজে দেখা যায় দু’দফায় টাকা কাটা হয়েছে। প্রথম দফায় ৯৭২৮ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৯৭৮০ টাকা। তৎক্ষণাৎ পার্বতী বুঝতে পারেন , তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

তখনই তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই নম্বরেও ফোন করলে সুইচ অফ বলতে থাকে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান তিনি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই ক্রেডিট কার্ড দফতরেও লিখিত অভিযোগ জানান। চন্দ্রকোণা থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গোটা ঘটনায় চন্দ্রকোণা জুড়ে পড়ে গিয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নামে প্রতারণা হয়নি। সেক্ষেত্রে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই প্রতারণা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ব্যাঙ্কের তরফ থেকেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।