খড়্গপুর: রানাঘাট-পুরুলিয়ার পর এদিন খড়্গপুরে সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতির ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা ওড়িশায় পালানোর ছক কষলেও ঘটনার ৬ ঘণ্টার পুরো ডাকাতদলকে ধরে ফেলে পুলিশ। একেবারে আকাশে ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ চলে ডাকাতদের। কিন্তু, তাঁদের ধরার পর যে সব তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসছে তাতে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকতির অনেক আগে থেকেই এলাকায় এসে রেকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে বসে করা হয়েছিল রেকি। যে ক’জন ধরা পড়েছে তারা সকলেই বিহারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।
ধৃতদের জেরা করে এই তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। এদিন বিকালে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এর বেলিয়াবেড়া থানার রান্টুয়া এলাকা থেকে ৫ দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ছুরি, একটি গাড়ি আটক হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
সূত্রের খবর, ঘটনার ২ দিন আগে খড়্গপুর শহরে পরিত্যক্ত রেলওয়ে কোয়ার্টারে ঘাঁটি গাড়ে দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকেই নজর রাখা হচ্ছিল সোনার দোকানটির উপর। দফায় দফায় চলেছিল রেকি। পুলিশ জানাচ্ছে, দোকানে ডাকাতির পর তারা সোজা গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশার দিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদিকে সে সময় ঝাড়গ্রামের চিচিরা পোস্টে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশ দেখেই তারা গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলে। এরপর রান্টুয়া এলাকায় গাড়ি রেখে জামা প্যান্ট খুলে ধান জমিতে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু, পুলিশ ততক্ষণে আকাশে ছেড়েছে ড্রোন ক্যামেরা। তা দিয়েই দোষীদের চিহ্নিত করে পাকড়াও করা হয়। এদিন খড়গপুর টাউন থানায় সাংবাদিক বৈঠক এ তথ্য দেন পুলিশ সুপার। ধৃত পাঁচ দুষ্কৃতীদের শনিবার আদালতে তোলা হবে।