
দাসপুর: তপ্ত হয়ে রয়েছে নেপালের পরিস্থিতি। সেদেশের দখল নিয়েছে সেনা। পরিস্থিতির উপর যে নজর রাখা হচ্ছে তা তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে। তবে নেপালের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে ভারতেও। এই গন্ডগোলের জেরে ভারত ও নেপালের সোনার ব্যবসায় এর একটা বড় প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কাঠমান্ডু যাওয়ার জন্য সপ্তাহে নিয়ম করে বাস চলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে। বাস ভর্তি হয়ে যায় সোনার কারিগর-কর্মী, ব্যবসায়ীদের নিয়ে। তবে নেপালের অশান্তির জেরে সেই পরিষেবা জলে।
মূলত, এই নেপালে গিয়ে কাজ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, দাসপুরের হাজার হাজার শ্রমিক। এই পরিস্থিতির খবর পেতেই নেপাল যেতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। যেতে চাইছেন না সেখানে। শুধু তাই নয়, যে বাসে করে তাঁরা যেতেন সেই যাত্রীবাহী বাসও ঠিক মতো চলছে না। দাসপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে বাসগুলি পাড়ি দেয় নেপালে। জীবন জীবিকার জন্য নেপালের এই গন্ডগোলের মাঝেই কিছু বাস গেলেও, বেশির ভাগই যেতে চাইছে না।
বাস সার্ভিস এজেন্সির চিত্ত রঞ্জন পাঁজা বলেন, “এখানে বাস চলে। এখনও পর্যন্ত তো স্বাভাবিকভাবেই বাস চলছে। তবে পরে কী হবে জানি না।” স্বর্ণকারিগর প্রদীপ পাত্র বলেন, “এখানে ভয়াবহ পরস্থিতি। সোনার কাজ করি। এখানে খুব ভয়ে ভয়ে আছি। ঘর থেকে বের হতে পারছি না।” আরও এক ব্যক্তি বলেন, “আমার পরিবারের অনেকে সোনার কাজে যান। শুনছি ওইখানকার পরিস্থিতি খুব খারাপ হচ্ছে ক্রমাগত। এখানে ফিরে এলে আর পাঠাব নো।” আরও একজন সোনার কারিগর বলেন, “আমি সদ্যই এসেছি বাড়িতে। খুব ভয় লাগছে ফিরে যেতে। এমন চললে হয়ত প্রভাব পড়বে সোনায়।”