মেদিনীপুর: সবংয়ে নিহত নাবালকের বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দল। শনিবার দুপুরে সেখানে যান কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। এদিন প্রথমে সেই বাড়িতে যান, যেখান থেকে ওই নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর গ্রামের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন। পুলিশের সঙ্গেও কথা হয় কমিশনের সদস্যদের। সুদেষ্ণা রায় বলেন, ঘটনার পরদিন নাবালকের দেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে এই ঘটনায়।
সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমরা যখন এখানে প্রশ্ন করেছি, ওরা বলেছে ওদের কাছে ফোনও নেই। ঘটনাটা সন্ধ্যার অন্ধকারে ঘটেছে। সাড়ে সাতটা আটটার পর। পরদিন সকালে যখন সৎকারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল, খবর পায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে এসে দেহ উদ্ধার করে। আমি চাইব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এরকম জঙ্গলরাজ চলতে পারে না। যেই হোক না কেন, যত প্রভাবশালীই হোক না কেন। যারা এখানে ছিল, শুধুই হয়ত প্রত্যক্ষদর্শী, তারাও সমান দোষী। কারণ তারা কোনও প্রতিবাদ করেনি। চুরি হলে পুলিশকে বলত। পুলিশ রাখার ব্যবস্থা করত। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তুলত। তাহলে তো বাচ্চাটার মৃত্যু হত না।”
গত বুধবারের ঘটনা। সবং ব্লকের এক নাবালক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে প্রথমে। যদিও পরে পরিবারের লোকজন দাবি করেন, খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে। ঘটনার আগের দিনই পাড়ার একজনের বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় ওই নাবালকের বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল ওঠে। অভিযোগ, খবর দেওয়া হয় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে।
এরপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্য নাবালককে দোকানে নিয়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এরপরের ঘটনা ঘিরে ধন্দ রয়েছে। একাংশ বলছে, বাড়িতে গিয়ে অভিমানে বিষ খেয়ে নেয় ওই নাবালক। তবে এমনও পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে আসছে বিষ নয়, নাবালকের মৃত্যু মারধরের কারণে হতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে সবটা স্পষ্ট হবে। তবে পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে সবং থানার পুলিশ। চলছে তদন্ত।