ঘাটাল: গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে। এরপরই মৃতের পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা মিলে বিক্ষোভ দেখালেন ঘাটালের বিডিও ও দাসপুর থানার ওসিকে ঘিরে। বিক্ষোভকারীদের দাবি তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে ঘাটাল থানার অজবনগর গ্রামের বাসিন্দা সাথী মাইতি-র(২৪) সঙ্গে দাসপুর থানার সুকুমার মাইতির বিয়ে হয়। মেয়ের মায়ের অভিযোগ, তাঁদের অবস্থা ছেলের বাড়ির তুলনায় অনেক গরিব। বিয়ের পর থেকেই সেই কারণে মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠত শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
মৃতের মা বলেন, “আমার মেয়েকে মারধর করত মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গতকাল দুপুর নাগাদ মেয়ের বাপের বাড়িতে একটি নতুন নম্বর থেকে ফোন যায়। বলা হয় আপনাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।”
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দাসপুর থানার গোপীনাথপুর এ মেয়ের বাড়িতে ছুটে আসে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন। তখন তাঁরা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন। এরপর জানতে পারেন যে তাদের মেয়ের মৃতদেহ দাসপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তারপর গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য মেয়ের বাপের বাড়ির সদস্যরা যে তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এরপর রবিবার দুপুর নাগাদ ঘাটাল হাসপাতালে পৌঁছয় ম্যাজিস্ট্রেট ও ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব কুমার দাস এবং দাসপুর থানার ওসি অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের মৃতদেহ রাখার কক্ষের বাইরে বিডিও ও দাসপুর থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন। পরে আধিকারিকদের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।