পশ্চিম মেদিনীপুর: জঙ্গলমহল এলাকায় যে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে, তার ফায়দা তুলছে এলাকার স্থানীয় দুষ্কৃতীদের একাংশ। গতকালই TV9 বাংলায় এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা লাল কালিতে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সাঁটিয়েছিল গড়বেতা এলাকায়। পুলিশের সন্দেহে, এলাকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এমন কাণ্ড করেছিল তাঁরা। এবার মাওবাদী পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বললেন, “মাওবাদী পোস্টার কে ফেলছে, আমি জানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মাওবাদীদের নামে লোকসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জব্দ করতে চান।”
এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” মাওবাদীদের নামে সোর্সের টাকা, পুলিশের আধুনিকীকরণের টাকা, ভাল অস্ত্র কেনার টাকা… এই সব করে আরও কিছু টাকা নেওয়ার ধান্দায় আছেন।” তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যে আপনি এম.এ করুন, এমএসসি করুন, ডক্টরেট করুন, বি.এড করুন… যতই আপনার মেধা থাকুক, যতই আপনি নিজেকে উপযুক্ত তৈরি করুন… আপনি চাকরি পাবেন না। জঙ্গলমহলের লোকেরা বলছেন, পেন বই সার্টিফিকেটে চাকরি পাওয়া যায় না। মাওবাদী সাজতে হবে। একটা ভাঙা বন্দুক কাঁধে নিয়ে ঘুরতে হবে। তাহলেই চাকরি পাওয়া যাবে। নির্বাচনের আগে প্রায় ৫০০-র বেশি তথাকথিত মাওবাদীদের নামে তৃণমূল নেতাদের চাকরি দিয়েছে। তাই জঙ্গলমহলের ছেলেরা ভাবছে, মাওবাদী মাওবাদী করলে আবার আমাদের নবান্নে ডেকে পাঠাবে। আবার ৫০০-৭০০ জনকে জুনিয়র কনস্টেবল হোক হোমগার্ড হোক বা সিভিক ভলান্টিয়ার হোক সে সব চাকরি দেবে। তাই বাংলায় সার্টিফিকেটের কোনও দাম নেই। মাওবাদী সাজতে হবে। ছদ্মবেশ প্রতিযোগিতা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে জঙ্গলমহল এলাকায় বেশ কিছু মাওবাদী পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। কোনও পোস্টারে নিশানায় তৃণমূল নেতা আবার কোনও পোস্টারে পুলিশ প্রশাসন। যদিও এই ধরনের পোস্টারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবার বক্তব্য, এর সঙ্গে বিজেপি যুক্ত। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “পুলিশকে জঙ্গমহলে আরও সক্রিয় হতে হবে। আমি শীঘ্রই জঙ্গলমহলে যাব।”