কলকাতা : একদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। এমনকী কেশপুরের সভাকে এখনও পর্যন্ত তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সভাও বলেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ‘রাম-বাম’ জোট নিয়ে দেগেছিলেন তোপ। মনোনয়ন জমা দিতে কোনও সমস্যা হলে বিরোধীদের ‘পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তাও দিয়েছিলেন। সমস্যা সমাধানে দিয়েছেন মোবাইল নম্বর। এবার তাঁর ঠিক একদিনের মাথায় সেই পশ্চিম মেদিনীপুরেই আসছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার তাঁর সভা রয়েছে পিংলার মুন্ডুমারি এলাকায়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলায় অভিষেক-শুভেন্দুর পরপর সভা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও শুভেন্দুর এই সভাকে বিজেপির পাল্টা সভা বলতে নারাজ তৃণমূল।
তৃণমূল-কংগ্রেসের পিংলা ব্লক সভাপতি শেখ সেবারতি বলেন, “সভাই তো হতে পারে না। কারণ সভা করার মতো লোকই এখানে পাবে না বিজেপি।” তাঁর বক্রোক্তি, “ছোটখাটো কোনও বৈঠক বা আলোচনা সভা হলেও হতে পারে। কিন্তু, বড় জনসভা করার মত বিজেপির লোক নেই পিংলাতে।” যদিও এলাকার বিজেপি নেতাদের দাবি, জেলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মুখিয়ে রয়েছেন শুভেন্দুর সভায় আসার জন্য। সভা ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে গোটা জেলাতেই। এদিনের সভায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের সঙ্গে থাকছেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরো হিরণকে নিয়ে সম্প্রতি জোর বিতর্ক হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিস্তর জল্পনা হয়। সম্প্রতি তৃণমূলের প্রতীক সম্বলিত একটি দেওয়ালের সামনে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সোফায় বসে থাকার একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা আরও জোরালো হয়।
যদিও বিতর্কের আবহেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন হিরণ। দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দেন কোথাও যাচ্ছেন না। তিনি থাকছেন বিজেপিতেই। এরইমধ্যে অজিতের দুর্গে হিরণের পা পড়তে চলায় তা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দুর পাশাপশি বিজেপির এই তারকা বিধায়কও কী বলেন সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।