কেশিয়ারি: আর পাঁচটা দিনের মতো শনিবারও একই সময়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু, কে জানতে পথেই অপেক্ষা করে আছে বড় বিপদ। কে জানত স্কুল থেকে আর ফেরা হবে না বাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বড় অংশই জঙ্গলে ঘেরা। যাতায়তের জন্য ভরসা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া পথই। রোজকার যাবতীয় কাজ করতে হয় এই পথেই। শনিবার কুসুমপুর জঙ্গলের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া এমনই এক রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন কেশিয়ারি হাইস্কুলের শিক্ষক বাদল দত্ত (৫২)। কিন্তু, রাস্তাতেই তিনি পড়ে যান এক দল হাতির সামনে। বাইক ফেলে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। পথেই তাঁকে পিষে দাঁতালেরা।
মৃত শিক্ষকের বাড়ি কেশিয়ারি থানার ডি কুসুমপুর গ্রামে। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে কেশিয়ারির কুসুমপুর নাপো এলাকায়। বাদল দত্তের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকাতেই। সূত্রের খবর, দু’দিন ধরে কেশিয়ারিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৭০ থেকে ৮০টি হাতির একটি দল। শনিবার হাতিগেড়িয়া জঙ্গলে দিনভর চলে তাণ্ডব। সন্ধ্যায় বন দফতরের কর্মীদের তৎপরতায় হাতি তাড়ানোর কাজ শুরু হয়। তখনই হাতির দলটিকে কুসুমপুর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
এদিকে তখনই কুসুমপুর জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন ওই শিক্ষক। রাস্তাতেই একেবারে হাতির দলের সামনে পড়ে যান শিক্ষক। সঙ্গে ছিল বাইক। বাইক ফেলে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই তাঁকে পিষে মেরে ফেল এক ঝাঁক দাতাল। ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল শুরু পড়ে যায় এলাকায়। কেশিয়ারি থানার পুলিশ গিয়ে ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করেছে। ভয়ের পরিবেশ চারপাশে। হাতির হানা ঠেকাতে তৎপরতা বাড়িয়েছে বন দফতরও।