আসানসোল: আইসিইউ (ICU)-তে রোগীর মৃত্যু। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এরপরই আসানসোল জেলা হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ঘটনা। সেখানেই রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ, রোগীর পরিবার ও সঙ্গী-সাথীদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের আসবাব ভাঙচুর করার অভিযোগ।
সোমবার মধ্যরাত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, আসানসোল বুধা গ্রামের বাসিন্দা কাঞ্চন বাউরি। তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর সোমবার দুপুরে ভর্তি হন কাঞ্চন। রাত্রিবেলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে আইসিসিইউতে। এরপর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপরেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই কাঞ্চন আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর পরিবার ও সঙ্গী-সাথীরা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। বিশেষ করে পার্কিং এলাকায় ভাঙচুর হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, ২১ বছরের কাঞ্চন বাউরি পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালেই তিনি গাড়ি চালাতেন। রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘সুস্থ ছেলে ভর্তি হল। হাসপাতালে এসে বললাম আমারদের রোগীর কী কী সমস্যা। তারপর ভর্তি করে। এরপর শুনি ওর শরীর খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। কী চিকিৎসা করল জানি না। আইসিইউতে ভর্তি করল। তারপর শুনি মারা গিয়েছে।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘একটা ভর্তি হয়েছিল। দু’বার পায়খানা করেছে। চিকিৎসক অসুবিধা বুঝে আইসিইউ-তে পাঠায়। ওর যে রিপোর্ট এসেছে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক রোগী মারা যায়। এই ধরনের কিছু লোক থাকে যারা কিছুই না বুঝে হাসপাতাল ভাঙচুর করে। মানুষ বোকা। তারা উৎশৃঙ্খল। তাই এরা এমন কাজ করে। ‘