ঘাটাল: প্রতিবারের মতো এবারও শিশুমেলার আয়োজন করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। প্রথম দিকে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই শুরু হয় উত্তেজনা। মেলা কমিটির নাম ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয় রীতিমতো হাতাহাতি। কমিটিতে তৃণমূল সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীর নাম নেই কেন? এই প্রশ্ন উঠতেই এক পক্ষ ঝাঁপিয়ে পড়ে অপর পক্ষের ওপর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি চলে আসে একেবারে প্রকাশ্যে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিরোধীদের দাবি, মেলা থেকে টাকা কে তুলবে, তা নিয়েই ঝামেলা।
জানা যাচ্ছে, রবিবার দুপুরে হাতাহাতি হয় সাংসদ দীপক অধিকারী অনুগামী ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুইয়ের অনুগামীদের মধ্যে। ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়াম এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ কমিটি গঠনের জন্য এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পরে তাঁরা মিটিং থেকে বেরিয়ে যান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ কর সহ একাধিক পদাধিকারী ও তাঁদের অনুগামীরা।
জানা গিয়েছে, ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার সভাপতি পদটি মহকুমা শাসক সামলান। কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে থাকেন দেব। মিটিং শুরু হওয়ার পর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই, নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে নেই দীপক অধিকারীর নাম। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদের প্রতিনিধি রামপদ মান্নাও। সাংসদের নাম বাদ যাওয়ায় বাড়ে উত্তেজনা। দীপক অধিকারীর নাম কেন বাদ গেল তা জানতে চান বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন। শঙ্কর দলুই ব্যাখা দিতে গেলে শুরু হয় বাদানুবাদ। শাসকদলের তাবড়-তাবড় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই চলে তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি।
দীপক অধিকারীর অনুগামী রামপদ মান্না বলেন, দেবকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘাটালের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। ঘাটালের মানুষ চোরকে মেনে নেবে না। তৃণমূলকে তীব্র হবে কটাক্ষ করেছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।