Pingla Disabled woman Harassment: তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ

Pingla Disabled woman Harassment: এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতাকে তিন ঘণ্টা ধরে থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

Pingla Disabled woman Harassment: তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2022 | 11:42 AM

পিংলা : দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করল পিংলা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে পিংলার কালুখাঁড়া এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে নির্যাতিতাকে তিন ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে দাবি বিজেপির। সেই ঘটনায় এবার পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিত্‍ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হল।

শাসক দল প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, তাঁদের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিরোধীরা চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস প্রকৃত ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলবার মেদিনীপুর কোতায়ালি থানায় নির্যাতিতার মা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিংলা থানার পুলিশ আটক করে এবং রাতেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মণ্ডলকে।

বুধবার সকালে ওই কালুখাঁড়া গ্রামে গেলে দেখা যায়, এলাকার লোকজন কোনও ভাবেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে নির্যাতিতার দিদি জানান, এলাকায় সালিশি সভায় যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন, তবে তিনি জানিয়ে দেন যে অভিযোগ হয়েছে সেই অভিযোগ সত্যি। এলাকায় ক্যামেরা দেখলেই এলাকার লোকজন দূরে সরে যাচ্ছে পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ। বুধবারই অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলেও পিংলা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। যুবতীর পরিবারের দাবি, ঘটনার রাতেই সালিশি সভা বসেছিল এলাকায়। বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় তরুণীর। তারপর ইমেলে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। বিজেপির দাবি, থানায় গেলেই অভিযোগকারিণীকে টানা তিন ঘণ্টারও বেশি বসিয়ে রাখা হয়। শুধু তাই নয়,  ধর্ষণ শব্দটা সরিয়ে পাশবিক অত্যাচার না লেখা পর্যন্ত অভিযোগ নেওয়া হয়নি, এমনটাও দাবি। এ সবের পরই গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতাকে। একদিকে হাঁসখালি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই এই পিংলার ঘটনায় অস্বস্তি আরও বাড়ল শাসক দলের।

আরও পড়ুন : CBI On Jhalda Coucillor Murder: তপন কান্দু খুনে পুলিশ কি কোনওভাবে নিরঞ্জন বৈষ্ণবকেই ফাঁসানোর ছক কষছিল? এটাই মূল ‘ফোকাস’ সিবিআই-এর