ঘাটাল: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে চলেছে বিরোধীরা। রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছে শাসকদলও। ধর্ষণ-বিরোধী অপরাজিতা বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে। আরজি করের ঘটনার নিন্দা করেছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। এবার তিনি বললেন, মেয়েদের বাঁচাতে না পারলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা বেটি বাঁচাও প্রকল্পের কোনও মানে নেই।
বুধবার ঘাটালে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দেব বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদ জানানো উচিত। আর কারও নাম যেন তিলোত্তমা না রাখতে হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন। এটা বাংলা বা অন্য রাজ্যের ইস্যু নয়। এটা আমাদের দেশের ইস্যু।”
এরপরই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও প্রকল্পের কথা টেনে আনেন ঘাটালের সাংসদ। তিনি বলেন, “এই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা বেটি বাঁচাওয়ের কোনও মানে নেই, যদি আমরা আমাদের দেশের মেয়েদের না বাঁচাতে পারি। আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা দরকার। সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসা দরকার। এটা কীভাবে আটকানো যায়, অপরাধীদের কী শাস্তি দেওয়া যায়, তা দেখা দরকার।”
সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে সমর্থন করে তিনি বলেন, “শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন করছি। এই আন্দোলনকে এমন ভাবে দেখতে চাই যে, ভারতের মানুষ ১০০ বছর মনে রাখবে। তারা মনে রাখবে এই আন্দোলনের হাত ধরেই ধর্ষণ-বিরোধী আইন হয়েছে। এই আন্দোলনের পর আর কারও নাম তিলোত্তমা দিতে হয়নি। তাহলেই আন্দোলনের জয় হবে। আন্দোলনকারীদের জয় হবে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলা সরকারকে ফেলে দেওয়া কিংবা অস্বস্তিতে ফেলার সময় নয় এটা।
বুধবার ঘাটালে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন স্থানীয় সাংসদ দেব। প্রথমে ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেন। ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তারপর জনতার দরবার ও ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে পথবাতির উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)