খড়্গপুর: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত সামনে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ হলেও তা বন্ধের কোনও লক্ষণ নেই। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর নেতাকে দেখে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান তুলল। তা ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে খড়্গপুর ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে। জানা গিয়েছে, খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের ৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়িয়েছেন মানোয়ার আলি ও সুশান্ত পাল ওরফে বাচ্চু। এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যেই হয়েছে ঝামেলা। যা নিয়ে কটাক্ষও করেছে বিজেপি।
সুশান্ত পালের অভিযোগ, তৃণমূল হয়ে দাঁড়ানো মানোয়ার আলি একজন ঠিকাদার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে টিকিট দেওয়া যাবে না। তাঁর মনোনয়ন যদি বাতিল না হয় তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও দলের তরফে মানোয়ার আলির মনোনয়ন তৃণমূলের তরফে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সুশান্ত পাল বিডিও অফিস থেকে বেরোনোর পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময় সুশান্ত পাল ওরফে বাচ্চুকে ঘিরে চোর চোর স্লোগান তোলে অন্য গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা (মানোয়ার আলির সমর্থকেরা)। এ নিয়ে সুশান্ত বলেছেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের এক জন ঠিকাদার নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে দাঁড়াতে পারেন না। আনোয়ার এক জন ঠিকাদার। গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে।”
সুশান্ত পালের বৌদি অভিযোগ করেছেন, “বালি, মাটি চোর সুশান্ত পাল কদিন আগেই শুভেন্দুর সভাতে কান ধরে উঠবস করে বলেছিলেন তৃণমূলে ভুল করেছি। এখন উনি ফের কবে তৃণমূলে যোগদান করলেন। তৃণমূলে এসে তৃণমূলের টিকিট নিয়ে দাঁড়াতে চাইছেন। আমরা ওকে একেবারে স্বীকার করব না, তাই দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি যাতে সুশান্ত পাল প্রার্থী না হয়।”
এই বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এ নিয়ে বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেছেন, “এত দিন সাধারণ মানুষ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দেখলে চোর চোর বলত। এখন তাঁদের নিজেদের দলের লোকেরাই বলছে।”