দাসপুর : এগারো কিলোমিটার রাস্তা। বছর খানেক আগেই ৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু, এখন সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অথচ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি গ্রামের মানুষ। প্রশাসনকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই, দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আজ পথ অবরোধ করলেন টোটো চালকরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বারাসতের।
দাসপুর-১ ব্লকের ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কের কলোরা থেকে তেমুয়ানি ব্রিজ হয়ে পোস্তঙ্কা পর্যন্ত এই রাস্তা প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রাস্তা দিয়ে বাস, টোটো, ট্রেকার সহ একাধিক যানবাহন যাতায়াত করে। কৃষিপ্রধান দাসপুর-১ ব্লকের এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি গ্রামের কৃষকরা। এই রাস্তা দিয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত টালিভাটা, কলোরা ও সোনামুই হাটে উৎপাদিত ফসল নিয়ে যান। তাঁরা যেমন অসুবিধায় পড়েছেন, তেমনি রাস্তার বেহাল দশার জন্য যাত্রী কমেছে টোটোতে। ৫০টির বেশি টোটো চলে এই রাস্তায়। টোটোচালকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই রাস্তার হাল ফেরাতে আজ দাসপুরের বারাসত মোড়ে টোটো চালকরা পথ অবরোধ করেন।
টোটো চালকরা বলেন, “দীর্ঘ এই এগারো কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এক বছর আগে এগারো কিলোমিটারের মধ্যে সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছিল। সেই রাস্তার অবস্থাও খুবই খারাপ। আমাদের বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত এই রাস্তা সংস্কারে নজর দিক প্রশাসন।”
রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন, “সত্যিই এই চার কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেই জন্য নতুনভাবে রাস্তাটি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার পাশ করা হয়েছে । অর্থ বরাদ্দ হলে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”
রাস্তা অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অবরোধ তুলতে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। শেষপর্যন্ত দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাস পেলে অবরোধ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।