সবং : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। ঝরল রক্ত। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিন সিপিএম কর্মী (CPIM Part Workers)। অভিযোগের তীর তৃণমূলের (Trinamool Congress) দিকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার সবং ব্লকের ১নং দেভোগ অঞ্চলের লখ্যা এলাকায় একটি শ্মশানের জায়গা পরিদর্শনে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেই জায়গা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনময় চলতে থাকে এলাকার কিছু বাম ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে। শুরু হয় চরম বচসা। অভিযোগ, ওই সময়েই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সিপিএম কর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। চলতে থাকে গালিগালাজ। অভিযোগ, এরপরই বাম কর্মী-সমর্থকদের গায়ে হাত তোলে তৃণমূলের লোকজন।
যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির। তাদের দাবি, এলাকায় বিরোধী শিবিরের লোকেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা পাকিয়েছে। তাঁরাই ঝামেলা করে এলাকাকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গোটা ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে সবং থানার পুলিশ।
সিপিএম কর্মী অতনুদেব বর্মন বলেন, “এলাকায় জমির একটা সার্ভে ছিল। সেই সার্ভে সংক্রান্ত ব্যাপারে আমরা মাঠে গিয়েছিল। আমি সরকারি আধিকারিকদের সামনেই ভিডিও রেকর্ডও করছিলাম। সরকারি আধিকারিকরা কিন্তু বাধা দেননি। ওরা চলে যেতেই জয়দেব প্রামানিক, বিশ্ব প্রামানিক, নেতাই বেড়া সহ আরও কয়েকজন দলবদল নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমার মাথায় ইটের আঘাতও মারা হয়। ওরা সবাই তৃণমূল করে। আমি সিপিএম করি। এর আগেও আমাদের মারধর করেছে, হুঁশিয়ারিও দিয়েছে এলাকার তৃণমূলের নেতারা।” সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেত্রী মৌসুমী দাস দত্ত। তিনি বলেন, “জায়গা পরিমাপের কাজ চলছিল। তখনই আচমকা এলাকার বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের বহু সমর্থক এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলে অশান্তি পাকানো হয়। মেয়েদের উপরেও হামলা চালানো হয়। আমরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”