কেশপুর : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে দিনক্ষণ। গোটা বাংলাতেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। জেলায় জেলায় ভোট প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। কিন্তু, এরইমধ্যে শাসকদলের সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। বীরভূম (Birbhum) হোক বা পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি হোক বা হাওড়া সব জায়গা থেকেই প্রায়শই আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ। এবার একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতির অনুগামীদের সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এল। দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত ১০। মাথা ফাটল একধিকের। আক্রান্ত কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান।
আশঙ্কাঅবস্থায় কেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জন। ইতিমধ্যেই দুজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় চাঞ্চল্য কেশপুর এর দোগাছিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, দোগাছিয়ায় দিন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই ব্লক তৃণমূলের সভাপতির অনুগামীদের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতির অনুগামীরা। আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মীর দাদার দাবি, পঞ্চায়েতের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ দুপক্ষের। সেই বিবাদের জেরেই আজ সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেশপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়।
তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বলেন, “এই অনুষ্ঠানে পার্টি অফিস ব্যবহার না করার জন্য ব্লক সভাপতিকে বলেছিলাম আগেই। তিনি কথা রাখবেন বলেছিলেন। কিন্তু, আচকা এ ঘটনা ঘটে গেল।” তোপ দেগেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরুপ দাস বলেন, “কেশপুরের পরিচিত তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে। আগে এই এলাকা সন্ত্রাস কবলিত ছিল। এখনও আছে। এখানকার সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত এই ঘটনা বাড়বে।”