Vidyasagar University: বিপ্লবীদের সন্ত্রাসবাদী বলে চাপে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়! জল গড়াচ্ছে হাইকোর্টে?

Vidyasagar University: ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তীর্থঙ্করবাবু বলছেন, মেদিনীপুরের ইতিহাসকে বিকৃত করে মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের সন্ত্রাসবাদি তকমা দিয়ে যে অন্যায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মরত অধ্যাপকরা তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

Vidyasagar University: বিপ্লবীদের সন্ত্রাসবাদী বলে চাপে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়! জল গড়াচ্ছে হাইকোর্টে?
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Social Media

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 11, 2025 | 8:50 PM

মেদিনীপুর: ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষায় এই প্রশ্ন করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিল বিদ্যাসগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যজোড়া বিতর্ক দানা বাঁধতেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন উপাচার্য। বলেছিলেন, ‘অসাবধানতাবশত ও অনিচ্ছাকৃত ভুল’। রেজিস্ট্রার বলেছিলেন, “কোনও অধ্যাপক হয়তো ইংরেজি থেকে ট্রান্সলেট করতে গিয়ে বা টাইপ করতে গিয়ে এই ভুল হয়েছে।” বিতর্কের ঝড় উঠেছিল রাজনীতির আঙিনাতেও। এবার জল গড়াতে চলেছে একেবারে হাইকোর্টে? আইনজীবীদের ইঙ্গিত অন্তত সেইদিকেই। 

সূত্রের খবর, প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন মেদিনীপুর জর্জ কোর্টের একাংশের আইনজীবীরা। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিলেন মেদিনীপুর আদালতের আইনজীবীরা। শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতের আইনজীবীদের স্বাক্ষরিত এই আবেদনপত্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। 

ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তীর্থঙ্করবাবু বলছেন, মেদিনীপুরের ইতিহাসকে বিকৃত করে মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের সন্ত্রাসবাদি তকমা দিয়ে যে অন্যায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মরত অধ্যাপকরা তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এরপরই তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে উচ্চ ন্যায়ালয়ের দ্বারস্থ হব।” 

এদিকে এ ঘটনায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, “বিপল দাশগুপ্ত, প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টাচার্য, শুভ্রাংশু পাল, এদের সন্ত্রাসবাদী বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ তিনিই শিক্ষা দফতরের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ করেন।” অন্যদিকে উপচার্যকে শোকজ করারও জোরাল দাবি তোলেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যেই আবার মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইমেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তথা শিক্ষানুরাগী ডঃ শঙ্কর গুচ্ছাইত।