AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জমির ফসল ছাগলে খেয়েছে, সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি!

তৃণমূল সভাপতি জগজিৎ সরকারের দাবি, সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক মোড় দিতে চাইছে বিজেপি। এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পারিবারিক বিবাদের অছিলায় অন্য রাজনৈতিক দল করাতেই এই আক্রমণ।

জমির ফসল ছাগলে খেয়েছে, সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি!
নিজস্ব ফটো
| Updated on: Mar 07, 2021 | 11:06 PM
Share

মেদিনীপুর: বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়ির ছাগল প্রতিবেশী তৃণমূল (TMC) কর্মীর খেতের ফসল খেয়ে ফেলেছিল। তাই নিয়ে বিজেপি কর্মীর পরিবারের মহিলা-সহ সদস্যদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীর মারধরে আহত হয়েছেন তাঁদের দলের লোকজন। ভোটমুখী বাংলায় এ নিয়েই উত্তপ্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বদড়া এলাকা। আহত ২ মহিলা সহ দু’পক্ষের ৬ জন ভর্তি হলেন হাসপাতালে।

তৃণমূল কর্মীর জমির ফসল বিজেপি নেতার ছাগল খেয়ে ফেলেছে, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বদড়া। জানা গিয়েছে, এদিন এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি শিবপ্রসাদ সাঁতরার বাড়ির ছাগল তৃণমূল কর্মী বামাপদ সাঁতরার খেতের ফসল খেয়ে নিয়েছিল। তার জেরেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে লাঠি, রড দিয়ে চড়াও হন তৃণমূল কর্মী রামাপদ সাঁতরা ও তার অনুগামীরা। লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে বিজেপি কর্মীর। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও পার পাননি। তাঁদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত হলেন একই পরিবারের মোট ৩ বিজেপি কর্মী। এদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের মারে আহত হয়েছেন তাদের ৩ কর্মী। দুই পক্ষের বিবাদে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

আরও পড়ুন: শিব লিঙ্গে পুজো দিয়েই আসানসোলে প্রচার শুরু সায়নী ঘোষের

এখন দুই পক্ষের আহতরাই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে খবর। এ নিয়ে চন্দ্রকোনার ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগজিৎ সরকারের দাবি, সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক মোড় দিতে চাইছে বিজেপি। এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পারিবারিক বিবাদের অছিলায় অন্য রাজনৈতিক দল করাতেই এই আক্রমণ। গোটা ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দু’পক্ষই দ্বারস্থ হয়েছে চন্দ্রকোনা টাউন থানার। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।