শালবনি: ২০০০ টাকার নোট (Rs. 2000 Note) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তারপর থেকেই সমাজে একাংশের মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কে গিয়ে নোট জমা দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে একাংশের মানুষের মধ্যে। এবার সেই ২০০০ টাকার নোট নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়, তখন তাঁর বাড়িতে ক’টা নোট ছিল, সেই কথাও জানালেন নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন হেভিওয়েট রাজনৈতিক হয়েও, তাঁর সাধারণ মানের জীবনযাপন নিয়ে অতীতে বহু চর্চা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কেন্দ্রের নোট প্রত্যাহারের ঘোষণার সময় ক’টি ২০০০ টাকার নোট ছিল জানেন?
এদিন শালবনিতে তৃণমূলে নবজোয়ারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আমি তো বাড়িতে আর অফিসে খুঁজে দেখলাম আটটা নোট বেরিয়েছে। চারটে অফিসে, আর চারটে বাড়িতে। অর্থাৎ, বুঝতেই পারছেন ওই নোট আমরা ব্যবহারই করি না। আমরা ছোট নোট বেশি ব্যবহার করি।’ একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও বক্তব্য, ‘২০০০ টাকা আপনার কাছে থাকলেও ব্যাঙ্ক জমা নিচ্ছে না। দোকানদারের কাছে গেলে, দোকানদার ভয়ে ২০০০ টাকার নোট নিচ্ছে না। এটা তাহলে (কেন্দ্রের) আগে ভাবা উচিত ছিল না? ২০১৬ সালেই তো করলেন নোট বদল। তাহলে আজ আবার নোটবদল কেন? যদি করতেই হয়, তাহলে আগে অপশন তৈরি করে, জনগণকে সুবিধা দিয়ে তারপর করবেন। আমার তো সংশয় হচ্ছে, কোনও একটি রাজনৈতিক দল এই টাকাটি মজুত করে রেখে দিয়েছে।’ যদিও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে যখন নোটবন্দি করা হয়েছিল, তখন পুরনো ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার বদলে বাজারে এসেছিল নতুন ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকার নোট। এবার সেই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোটগুলি জমা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।