Body Recover: ‘লাশটা শনাক্ত করে যান’; হঠাৎই এল ফোন, পুকুরধারে গিয়ে কপালে হাত পরিবারের
Medinipur: নিছক জলে ডুবে মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ।
মেদিনীপুর: ২৪ ঘণ্টা খোঁজ ছিল না যুবকের। হঠাৎই ফোন আসে। বলা হয়, একটি দেহ উদ্ধার (Body Recover) হয়েছে, এসে শনাক্ত করে যেতে। পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া দেহটি তাঁদেরই বাড়ির লোকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় ঘাটালের দাসপুর (Daspur) থানার ডিহিবলিহারপুর গ্রামে। একদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় মাধব দোলুই নামে ওই যুবকের দেহ। ব্যস্ত রাস্তাঘাট, জনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানেই রবিবার ভরসন্ধ্যায় এলাকার লোকজন দেখেন পুকুরে একটি দেহ ভাসছে। গ্রামের মাঝে রাজাপাড়ার মনসাপুকুরে দেহটি ভাসতে দেখে খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে।
নিহত ওই যুবক দাসপুরেরই শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা। নাম মাধব দোলুই। বয়স ৪৫ বছরের আশেপাশে। ঠিক কীভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পরিবারের লোকজনের মনে। কোনও দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দাসপুর থানার পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই ওই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের তরফে জানা যাচ্ছে শনিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মাধব।
ডিহিবলিহারপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ মফিজুল ইসলাম বলেন, “আমরা এখানে খেলছিলাম। হঠাৎ শুনলাম এখানে একজন ডুবে মারা গিয়েছেন। আমরা বাড়ি গিয়ে পাড়া প্রতিবেশিকে ডেকে আনি। থানায় খবর দিই। এরপরই পুলিশ আসে। বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। শুনলাম শিমুলতলার লোক। শুনছিলাম নেশা করেছিলেন। সে কারণেই কোনওভাবে জলে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন।”
নিহতের খুড়তুতো ভাই সঞ্জিত দলুইয়ের কথায়, “সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না দাদাকে। আমরা চারদিকে খোঁজও করি। এরপরই সন্ধ্যাবেলা একটা ফোন আসে। ওরা বলে অমুক জায়গায় একটা লাশ পড়ে রয়েছে, দেখতে আসুন। গিয়ে দেখি, এ তো আমাদেরই ছেলের। কীভাবে এটা হল সেটা তো বুঝতেই পারছি না। পুকুরে গিয়ে কীভাবে পড়ল বুঝেই উঠতে পারলাম না। “