Road Accident: ‘আর্তনাদ দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে পালাল পুলিশ’, দুর্ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
Medinipur: এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার লোকজন। ঘাতক গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
মেদিনীপুর: পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েছিল পিকআপ ভ্যান। অভিযোগ, সেই ভ্যান গিয়ে ধাক্কা মারে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আনন্দপুর (Anandapur) থানার বুড়াপাট পাঁচকুড়ি এলাকা। এই ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। একইসঙ্গে ঘাতক গাড়িতে চলে ভাঙচুর। বর্ষবরণের বিকেলে তুমুল ঝামেলা শুরু হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আনন্দপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী হাজির হয়। কেশপুরের নেড়াদেউল থেকে চন্দ্রকোণার দিকে আসছিল একটি পিকআপ ভ্যান। অভিযোগ, নেড়াদেউলের কাছে পুলিশ পিকআপ ভ্যানটিতে আটকানোর চেষ্টা করলে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। এরপরই পিকআপ ভ্যানটিকে তাড়া করে নিয়ে আসে পুলিশের পেট্রলিং কার। অভিযোগ, বুড়াপাট পাঁচখুরি এলাকা থেকে গাড়িটি ধরার চেষ্টা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। সিভিক ভলান্টিয়ারকে এক প্রকার চাপা দিয়েই গাড়ি নিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন চালক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার লোকজন। ঘাতক গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের ক্ষোভ, এক গাড়িতে তিনজন থাকলে পুলিশ তিনজনকেই হেলমেট পরতে বলে। কারও মাথায় হেলমেট না থাকলেই টাকা নেয়। যদিও একাংশের দাবি, বেপরোয়াভাবে গাড়িগুলি যাতায়াত করে। পুলিশি কঠোরতা না থাকলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এই ঘটনার পরই কেশপুর চন্দ্রকোণা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকার লোকজন।
মান্তু পাত্রের জ্যেঠিমা মামনি পাত্র বলেন, “আমার ভাশুরপো বছরের প্রথম দিন এমন বিপদে পড়ল। ও যেমন সুস্থ ছেলে, তেমন সুস্থ করেই ফিরিয়ে দিতে হবে। পুলিশ গাড়িতে ধাক্কা লেগেছে দেখেই গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায়। আমাদের এর বিচার চাই।” প্রত্যক্ষদর্শী অমিত পাত্রেরও অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রশাসন ছেলেখেলা করছে। পুলিশ আর্তনাদ দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে পালাল। একটু সহানুভূতিও নেই যে রোগীটাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।” যদিও এ নিয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলেই যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।