AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Leader VIRAL VIDEO: পুলিশকে এসির হাওয়া খেতে বলে ‘খেলা’ দেখানোর হুঁশিয়ারি কেশপুরের তৃণমূল নেতার, বিতর্কিত সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল…

TMC: তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। দলীয় নেতার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শিউলি বলেন, এখানে বিতর্কের কিছুই তিনি দেখছেন না।

TMC Leader VIRAL VIDEO: পুলিশকে এসির হাওয়া খেতে বলে 'খেলা' দেখানোর হুঁশিয়ারি কেশপুরের তৃণমূল নেতার, বিতর্কিত সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল...
মঞ্চে তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 9:21 PM
Share

মেদিনীপুর: ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিন ব্যাপী প্রতিবাদ সভা করছে তৃণমূল। প্রতি জেলার ব্লকে ব্লকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে। সেই সভা থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেল কেশপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের গলায়। এই মুহূর্তে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। যেখানে মহম্মদ রফিককে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কেশপুরে ভ্যাও ভ্যাও কিছু পার্টি আছে। কেশপুরের পুলিশ, আনন্দপুর থানার পুলিশকে বলব আধ ঘণ্টা আপনারা থানায় থাকুন না। একটু এসি টেসি খান না, ফ্যানের বাতাস খান না। একটু আমাদের সময় দেন না খেলতে। কেমন খেলা হবে কেশপুরের মাটিতে, সেই খেলা দেখাতে আমাদের আধ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না।”

তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। দলীয় নেতার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শিউলি বলেন, এখানে বিতর্কের কিছুই তিনি দেখছেন না। শিউলির ব্যাখ্যা, “রফিকের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। উনি দীর্ঘদিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। মার খেয়েছেন বহুবার। কেশপুরে সিপিএম যখন দাপিয়ে বেড়াত সেই সময় থেকে মার খেয়ে এসেছেন তিনি। ২০২১-এর নির্বাচনের আগে এবং পরে বিজেপি যেভাবে বিদ্বেষ উস্কে দিয়ে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছিল, সেখানে যদি আমরা চাইতাম অনেক কিছুই পারতাম। আমরা কিন্তু হিংসার পথ বেছে নিইনি। এখানে হুঁশিয়ারির কিছুই নেই। উনি বলতে চেয়েছেন ২০২৩ বা ২০২৪ নির্বাচনের এরকম কিছু বিজেপি করতে চাইলে, ধর্মের তাস খেলতে চাইলে, তৃণমূলও বসে থাকবে না।”

অন্যদিকে তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস। তিনি বলেন, “কেশপুরে মহম্মদ রফিক সভা করে পুলিশকে তুলোধনা করেছে। রাজ্য পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। নিজের কিছু তো ওদের করার ক্ষমতাই নেই। তৃণমূলের নেতারা যেভাবে বলে দেন, সেভাবেই চলে। পুলিশকে ধমকানো চমকানো, এসব আসলে আইওয়াশ। ২ মে’র পর কেশপুরে কী হয়েছে সকলেই জানে। তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই সেসব হয়েছে। বিজেপির নাম নিচ্ছে এখন। ভুললে হবে না, বিজেপির সঙ্গে পুলিশের কিন্তু কোনও বোঝাপড়া নেই। থাকলে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার পর পুলিশ অন্তত বাঁচাতে আসত, আসেনি।”