AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গ্রেফতার হলে কে বাঁচাবে?’ ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ নিয়ে প্রশ্ন চাকরিহারাদের

Supreme Court: প্রসঙ্গত, এদিন সকালে ডিআই অফিসের গেটের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় একদল চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। বিক্ষোভের মাঝেই এক চাকরিহারা বললেন, “কোনও নোটিস দেয়নি? কিসের ভিত্তিতে আমরা যাব?”

Supreme Court: ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গ্রেফতার হলে কে বাঁচাবে?’ ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ নিয়ে প্রশ্ন চাকরিহারাদের
সুপ্রিম কোর্টে ঝুলল তালা Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2025 | 5:45 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুরে ডিআই অফিসের সামনে সকাল থেকেই বিক্ষোভ চাকরিহারাদের। শেষ পর্যন্ত অফিসে তালাই ঝুলিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধরা। টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। তাঁদের সাফ কথা, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন তাঁরা স্কুলে যাবেন সেই প্রশ্ন তুলছেন। “সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম লঙ্ঘন করে স্কুলে গেলে পুলিশ যদি আমাকে ধরে তাহলে কে আমাকে বাঁচাবে?”  ক্ষোভের সঙ্গেই প্রশ্ন চাকরিহারাদের। 

প্রসঙ্গত, এদিন সকালে ডিআই অফিসের গেটের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় একদল চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। বিক্ষোভের মাঝেই এক চাকরিহারা বললেন, “কোনও নোটিস দেয়নি? কিসের ভিত্তিতে আমরা যাব? মৌখিক কথার কোনও মূল্য থাকে না। উনি সভায় দাঁড়িয়ে বলে দিলেন আপনারা কাল থেকে স্কুলে চলে যান। কে মানা করেছে! মানা তো তো করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ যদি আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা অমান্য করে স্কুলে চলে যাই, কাল যদি আমি অ্য়ারেস্ট হয়ে যাই! পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করবে আইন অমান্য করার জন্য? আমাকে বাঁচাবেন কে? কে যাবেন বাঁচাতে?” 

প্রসঙ্গত, একদিন আগেই নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বলেছিলেন, “আমি বেঁচে থাকাকালীন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কারও চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার প্রতিশ্রুতি।” একইসঙ্গে জানান, যোগ্যরা যাতে চাকরি ফিরে পান, তার ব্যবস্থা নির্দিষ্ট প্রসেসের মধ্যে দিয়েই ২ মাসের মধ্যে কমপ্লিট হবে। 

অন্যদিকে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই অফিসের সামনে থেকে চাকরিহারারা বলছেন, “আমরা তো আন্দোলন করতে চাই না। আমরা তো যোগ্য। ওএমআর অনলাইন করুক। সবাই দেখুক আমরা যোগ্য না অযোগ্য। তার ভিত্তিতে আমাদের কর্মস্থলে পুনরায় বহাল করুক। আমরা খুশি খুশি মনে যেতে চাই। এখন শান্তভাবে বলছি, আমরা তো চেষ্টা করব। আমরা যে চাকরি পেয়েছি সেটা তো ছেড়ে দিতে চাইব না। ৭ বছর আমরা চাকরি করেছি। যে অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের প্যানেল বাতিল করা হয়েছে সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু নেই।”