Medinipur Medical: স্যালাইন নেওয়ার পরই প্রস্রাবে রক্ত! দুধের শিশুকে রেখে মৃত্যু মায়ের, চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক

Medinipur Medical: শুধুমাত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন নয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে।

Medinipur Medical: স্যালাইন নেওয়ার পরই প্রস্রাবে রক্ত! দুধের শিশুকে রেখে মৃত্যু মায়ের, চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক
প্রসূতির আত্নীয়দের কান্নাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 10, 2025 | 10:53 AM

মেদিনীপুর: স্যালাইনে বিভ্রাট! সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ একের পর এক প্রসূতি। ভয়াবহ অভিযোগে উত্তাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। আজ, শুক্রবার সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আরও চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয়। আত্মীয়দের অভিযোগ, স্যালাইনেই কোনও সমস্যা ছিল। কেউ বলছেন, ছত্রাক ছিল স্যালাইনের ভিতরেই। আবার কেউ বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার থেকেই অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। প্রসূতিদের আত্মীয়রা জানান, সন্তান সুস্থ আছে। প্রথমটায় তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। পরে জানতে পারেন প্রসূতিদের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হওয়া সত্ত্বেও রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণে টাকা নেওয়া হচ্ছে। পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, অপারেশন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সিনিয়র কেউ সেখানে ছিলেন না।

মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রিপোর্ট না আসার পর স্পষ্ট হবে না। এর আগে কলকাতায় এসএসকেএম, এনআরএস হাসপাতালেও এই স্যালাইনের সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। কয়েকদিন আগে কর্নাটকেও স্যালাইনের কারণে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এবার মেদিনীপুর। আপাতত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। রিপোর্ট না এলেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্যালাইনের সমস্যার কারণেই মৃত্য়ু হয়। প্রশ্ন উঠছে, এ ঘটনার দায় নেবে কে?

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, একটি মেডিক্যাল কলেজেই যদি স্যালাইনে সমস্যা থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রগুলির অবস্থা কী? জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে রাজ্য কী শিক্ষা নিল, সেই প্রশ্নই তুলছেন বিজেপি নেতা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “সাম্প্রতিককালে বারবার ওষুধ, স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। তাই আরও বেশি সজাগ হতে হবে।” নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।