
পশ্চিম-মেদিনীপুর: চাল চুরির অভিযোগ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের শ্লীলতাহানির হুমকির অভিযোগ। ক্ষুব্ধ মহিলারা দড়ি বেঁধে রাস্তায় টেনে নামালেন শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত মণ্ডলিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল এই ধরনের কুকীর্তি। অবশেষে সোমবার দুপুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা অভিযুক্ত শিক্ষককে দড়ি দিয়ে বেঁধে বিদ্যালয় থেকে টানতে-টানতে নিয়ে যান। তারপর কেশপুর থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে।
এই সকল মহিলাদের দাবি, রান্নার সময় নিম্নমানের সবজি দিয়ে মিড-ডে মিল তৈরি করতে বাধ্য করাতেন প্রধান শিক্ষক। এমনকী, তাঁদের বিস্ফোরক দাবি, জ্বালানির কাঠ না থাকলে মেয়েদের শাড়ি খুলে উনুনে দিয়ে রান্না করতে বলতেন এই অভিযুক্ত। প্রতিবাদ করলে তাঁদের রাস্তায় ফেলে শ্লীলতাহানির হুমকি দেওয়া হত। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক অত্যাচার করছিলেন বলে দাবি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। এই ঘটনার বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অপসারিত করতে হবে। অ
অভিযোগকারী এক মহিলা বলেন, “এক মহিলা বলেন, “রান্নার জ্বালানি না থাকলে প্রধান শিক্ষক বলত নিজেদের কাপড় খুলে আগুন জ্বালাও। আমাদের লাঠি দিয়ে মারতে যেত। আজ যখন দোকানে যাই, সেই সময় পাশের লোকজন বলে আমরা নাকি চাল চুরি করেছি। পরে তদন্ত করে দেখা গেল তিন বস্তার চাল স্যর নিয়ে চলে গেছে।”
কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন গরাই বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে সে উপযুক্ত শাস্তি পাবে।”