পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলায় ফের খুনের ঘটনা। এবার স্ত্রীর হাতে খুন হতে হল স্বামীকে। শুধু তাই নয় খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠছে। পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ।
ঘটনাটি পশ্চিম মদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই পৌর এলাকার। জানা গিয়েছে, সেখানেই থাকতেন অভিযুক্ত ওই গৃহবধূ। গতকাল রাতে হঠাৎ চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বলতে থাকেন তাঁর স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপর তাঁর চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। বাড়িতে পৌঁছে তাঁরা দেখেন ওই মহিলার স্বামী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাথরুমে। রুপালির কথামতো স্থানীয়রা মৃতদেহ সৎকারের আয়োজন করেন। দেহ সৎকার করতে যাওয়ার সময় মৃতদেহের গলায় দড়ির চিহ্ন দেখেন অনেকেই। সেই ক্ষতচিহ্ন দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। এরপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি ওই গৃহবধূর বিবাহবহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই নিজের স্বামীকে খুন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাড়িতেই আটক করা হয় রুপালি ঘোষকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে দাবি পুলিশের । ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রুপালির সাথে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের ছোটো ভাই জানান, “গতকাল বাড়িতে আমার দাদা,বউদি আর ছোটো ভাইঝি ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। ভাইঝি পাশের ঘরে ছিল। দাদা-বউদি একঘরে ছিল। প্রথমে জানতে পারলাম বাথরুমে দাদা শুয়ে আছে। স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছে। পরনে জ্যাকেট ছিল ও মাফলার ছিল গায়ে জড়ানো। সেই হিসেবেই বোনেরা এসেছে। বাড়িতে কান্না-কাটি চলছে। আমি কলকাতাতে থাকি। কালকে বাড়ি ফিরে যখন দাদার সারা শরীর দেখতে শুরু করলাম তখন দেখি গলায় ফাঁসের দাগ। তখনই বুঝতে পারলাম তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গোটা গলায় গোল দাগ হয়ে রয়েছে। আমরা যখন শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। সেই সময় ভাইঝিকে আমি চেপে ধরি। তখন ভাইঝি বলে রাতের বেলা একটি লোক আর মা মিলে বাথরুমে বাবাকে গলায় দড়ি দিয়ে মরে ফেলে। আমায় বলে পুলিশের কাছে কোনও কিছু না বলতে। স্ট্রোক হয়েছে এই গল্প বলতে। এরপর পুলিশের কাছে আমরা যাই। খবর দিই পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।”
আরও পড়ুন: WHO On Omicron: ডেল্টার থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, শারীরিক দুর্বলতাও অনেক বেশি