‘তোলাবাজ দাঙ্গাবাজ অশোক গৌতম’, সুনীল সিং-এর পর পোস্টার বিতর্কে ২ বিজেপি পৌরপ্রধান

উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যাওয়ার পরেই বেসুর বাজতে শুরু করেন 'মুকুল ঘনিষ্ঠ' সুনীল সিং। এরপরেই, সুনীলের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ গৌতম বসু ও অশোক সিং-কে নিয়েও দলবদলের জল্পনা জোরাল হতে শুরু করে। কার্যত, দুই পৌরপ্রধান এখনও নিজেদের অবস্থান ষ্পষ্ট করেননি।

'তোলাবাজ দাঙ্গাবাজ অশোক গৌতম', সুনীল সিং-এর পর পোস্টার বিতর্কে ২ বিজেপি পৌরপ্রধান
নিজ,স্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2021 | 4:08 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) পর যেমন দলবদলের হিড়িক বেড়েছে তেমন কাকে দলে নেওয়া হবে, কাকে হবে না তা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। ইতিমধ্যেই ‘তৃণমূলে নেওয়া যাবে না’ এই মর্মে পোস্টার পড়েছে নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে। পোস্টার পড়েছে বিজেপির ‘বেসুর’ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে। এ বার, পোস্টার বিতর্কের তালিকায় উঠে এল গাড়ুলিয়ার দুই পৌরপ্রধানের নাম। গাড়ুলিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপ্রধান ও বিজেপি নেতা গৌতম বসু ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপ্রধান অশোক সিং-কে কোনওভাবে দলে নেওয়া যাবে না এই দাবীতে পোস্টার পড়ল গাড়ুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়।

স্থানীয়রা জানিয়ছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে গাড়ুলিয়া পৌরসভা-সহ একাধিক এলাকায় এই পোস্টার দেখতে পান তাঁরা। কী লেখা রয়েছে সেই পোস্টারে? লেখা হয়েছে, “তোলাবাজ দাঙ্গাবাজ অশোক সিং এবং গৌতম বসুকে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া হবে না।” পোস্টারের নীচে লেখা, ‘সমস্ত গাড়ুলিয়ার মানুষ’। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যাওয়ার পরেই বেসুর বাজতে শুরু করেন ‘মুকুল ঘনিষ্ঠ’ সুনীল সিং। এরপরেই, সুনীলের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ গৌতম বসু ও অশোক সিং-কে নিয়েও দলবদলের জল্পনা জোরাল হতে শুরু করে। কার্যত, দুই পৌরপ্রধান এখনও নিজেদের অবস্থান ষ্পষ্ট করেননি।

বিজেপি নেতা গৌতম বসু বলেন, “যারা পোস্টার দিয়েছে তারা কলেজে তৃণমূল করে আর গাড়ুলিয়াতে বিজেপি করে। তাই ও নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব আমার বাড়ি বসে আমায় ওঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করে গিয়েছেন। যদিও, আমি এখনও কিছু কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।”

গাড়ুলিয়ার পৌরপ্রশাসক, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, “কে পোস্টার দিয়েছে জানি না। তবে শুনেছি, অশোকবাবু আর গৌতমবাবু দলে ফিরতে চান। গৌতমবাবু এমনও বলেছেন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা দলে যোগদানের বিষয়ে কথা বলতে। আমার মনে হয় না, তৃণমূলের এতটাও দুর্দিন এসেছে যে অশোক সিং আর গৌতম বসুর বাড়ি গিয়ে তাঁদের দলে আনাতে হবে। আর তাঁদের দলে নেওয়া হবে কি না তা উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে।”

প্রসঙ্গত, ভোট মিটলেও জারি বঙ্গ যুদ্ধ। বেসুরোদের নিয়ে এবার অস্বস্তি দুই শিবিরেই। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর লাইনে রয়েছেন আরও অনেকে। বেসুরো বিজেপিরও বহু নেতা। এদিকে দলবদলুদের ফেরানোয় তৃণমূলে আপত্তি অনেকেরই। এর জেরে গোষ্ঠী সংঘাত বাড়তে পারে বলেই অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আরও পড়ুন: ‘শুধু রাজীব-কুণাল কি বুদ্ধিমান, আমরা সব গরু-ছাগল!’, তোপ কল্যাণের