
কনিষ্ক মাইতি, রূপক সরকার, দেবব্রত সরকার
কাঁথি, বালুরঘাট, মেদিনীপুর: ডিআই-কে ঢুকতে বাধা চাকরিহারাদের। চাকরিহারাদের ক্ষোভ জেলায় জেলায়। কোথাও ডিআই অফিসে বিক্ষোভ, কোথাও ডিআই-কে ঢুকতে বাধা, কোথাও কমিশনের শবদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ, কোথাও আবার কোলের সন্তানকে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ।
মেদিনীপুর ডিআই অফিসে তুলকালামকাণ্ড। মঙ্গলবারও দেখা গিয়েছিল, ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। চাকরিহারাদের বিক্ষোভে আজও উত্তাল পরিস্থিতি। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ডিআই-সহ এক জন কর্মীকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
এদিকে, একই ছবি দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটেও। বালুরঘাটেও ডিআই-কে অফিসে ঢুকতে বাধা দেন চাকরিহারারা। চাকরিহারাদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিছিল করে ডিআই অফিসের দিকে এগোতে থাকেন চাকরিহারারা। পুলিশ মিছিল আটকালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
ডিআই-এর উদ্দেশে এক চাকরিহারা বলেন, “দুবছর আগে আমরা পিপিই মডেল চেয়েছিলাম। যেখানে দেখেছিলাম, শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” আরেক চাকরিহারা বলেন, “আপনার কোনও দোষ নেই, কিন্তু ১৫ বছর পর আবার আপনাকে বলা হল পরীক্ষা দিতে, বুকে হাতে দিয়ে বলুন তো আপনারা পারবেন?”
মেদিনীপুরে আবার এসএসসি কমিশনের ‘শবদেহ’ কাঁধে করে নিয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা বলেন, “আসলে কমিশন তো একটা শবদেহে পরিণত হয়েছে। কমিশনের তো কোনও ভূমিকা নেই। তাই তার শবদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।”
একই ছবি পূর্ব মেদিনীপুরেও। বুধবার সকালে প্রায় তিনশো জন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষা কর্মীরা মানিকতলার ডিআই অফিসে গিয়ে চাবি লাগিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে চাকরিতে বহাল রাখতে হবে। বিক্ষোভের আঁচ মালদহেও।