SIR Hearing: ঠান্ডায় কাঁপতে-কাঁপতে ১০৯ বছরের বৃদ্ধা এলেন শুনানিতে, প্রশাসন বলল…
Katwa: নাতি পরিতোষ প্রামাণিক বলেন, "এসআইআর-এ আমাদের নাম নেই। আমার ঠাকুমাকে নিয়ে এসেছি। ওঁর বয়স ১০৯ বছর। আমাদের বাড়ি ছিল মেরা। ওইখানে নাম নেই। আমরা বলেছিলাম প্রশাসনকে যে বুড়ো মানুষ বাড়ি গিয়ে করে দিলে ভাল হয়। কিন্তু বলল এখানে এসেই করতে হবে।" বৃদ্ধা নিজে যদিও কিছু বলতে পারলেন না। শুধু একবার জানালেন তাঁর ঠান্ডা লাগছে।

কাটোয়া: নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার বলেছিল ৮৫ বছরের উর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের যেতে হবে না শুনানিতে? তাঁদের জন্য ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু তারওপরও দেখা গেল, কাটোয়ায় ‘১০৯ বছরের’ বৃদ্ধাকে আসতে হলো বিডিও অফিসে ভোটার তালিকা সংশোধনের শুনানির জন্য। যদিও, ওই বৃদ্ধার ভোটার কার্ড অনুযায়ী তাঁর বয়স ৮৯। তবে পরিবার বলছে, তাঁর বয়স ১০৯। তবে বয়স ৮৯ হোক বা ১০৯, শীতের মধ্যে বৃদ্ধাকে আসতে হল শুনানি কেন্দ্রে।
কিন্তু কেন আসতে হল বৃদ্ধাকে?
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের রাধাকৃষ্ণপুরের ৪৭ নম্বর বুথের বাসিন্দা মুক্তি বালা প্রামাণিক। তাঁর বয়স ১০৯। ওই বৃদ্ধার ডাক পড়েছে শুনানি কেন্দ্রে। পরিবারের দাবি,তাঁরা বারবার করে প্রশাসনকে জানিয়েছিল,যেন বাড়িতে শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। এরপর আজ ওই বৃদ্ধাকে ভ্যানে চাপিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে আসেন তাঁর দুই নাতি।
নাতি পরিতোষ প্রামাণিক বলেন, “এসআইআর-এ আমাদের নাম নেই। আমার ঠাকুমাকে নিয়ে এসেছি। ওঁর বয়স ১০৯ বছর। আমাদের বাড়ি ছিল মেরা। ওইখানে নাম নেই। আমরা বলেছিলাম প্রশাসনকে যে বুড়ো মানুষ বাড়ি গিয়ে করে দিলে ভাল হয়। কিন্তু বলল এখানে এসেই করতে হবে।” বৃদ্ধা নিজে যদিও কিছু বলতে পারলেন না। শুধু একবার জানালেন তাঁর ঠান্ডা লাগছে।
এই খবর কানে পৌঁছতেই মহকুমা শাসক সুপারভাইজার স্বপন হালদার জানিয়েছেন,গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। বিএলও দেবকুমার হাজরা জানিয়েছেন তাঁর কাছে এমন কোনও নির্দেশ ছিল না।
