টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে, করোনাকে হারিয়ে দিল ১৮ দিনের শিশু!

সৈকত দাস |

Jun 02, 2021 | 6:13 PM

টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর ১৮ দিনের এই শিশুটি সেরে উঠেছে। চিকিৎসকদের দাবি, এমন নজির গোটা দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। দেশের সর্বকনিষ্ঠ করোনাজয়ী এই শিশুটি।

টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে, করোনাকে হারিয়ে দিল ১৮ দিনের শিশু!
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: করোনার আতঙ্কে যখন থরহরিকম্প অবস্থা সকলের, তখন সেই মারণ ভাইরাসকে হেলায় হারিয়ে দিল একরত্তি দুধের শিশু! দেশজুড়ে করোনার মৃত্যু মিছিলের মধ্যে ফুটফুটে শিশুটাই যেন আশার আলো। টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর ১৮ দিনের এই শিশুটি সেরে উঠেছে। চিকিৎসকদের দাবি, এমন নজির গোটা দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। দেশের সর্বকনিষ্ঠ করোনাজয়ী এই শিশু।

কতই বা বয়স, বছর বা মাসের হিসেব নয়, কয়েক দিনের শিশু সে। তার শরীরেরই পাওয়া গেল কোভিড (COVID) ভাইরাস! তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে যেন জন্ম থেকেই লড়াকু এই শিশু। টানা দশ-দশটি দিন ভেন্টিলেশনে থেকে করোনাভাইরাসকে হেলায় হারাল সে। ঘটনায় উচ্ছ্বসিত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর অসম লড়াই জিতে ফিরল সে। জঞ্জাল সরিয়ে যে বিশ্বকে  শিশুদের বাসযোগ্য করার কথা ছিল আমাদের, সেই কান্নার পৃথিবীতে নতুন করে বাঁচার আশা জাগালো এই একরত্তি।

কয়েক সপ্তাহ আগে রামপুরহাট রেফার হয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে এই শিশুটি। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে। নিউরো সমস্যা নিয়ে তাকে প্রথমে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে শিশুটির শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। হাসপাতালে ভর্তির তিনদিন পর  শিশুটির কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। ভেঙে পড়েন বাবা-মা। চিকিৎসকেরাও কার্যত কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলেন। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে যে বাদ পড়ছে না শিশুরাও!

এদিকে ধীরে ধীরে এই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফুসফুস ও হৃদপিন্ডে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখানেই ছিল টানা দশ দিন। ফের তার কোভিড রিপোর্ট করানো হয়। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ফুসফুস ও হার্টের সংক্রমণও কেটে গিয়েছে। এখন সে শিশুবিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিউরো সমস্যার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং বিভাগে।

আরও পড়ুন: পরিচারিকাদের দুপুরের খাবারের দায়িত্ব নিলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শিশুরা কোভিড থেকে সেরে উঠছে, সেই নজির তো আছে। কিন্তু এত ছোট্ট বাচ্চা এবং অত্যন্ত জটিল অবস্থা থেকে সেরে উঠছে, এটা আমাদের কাছে বিরাট ব্যপার। শিশুটি এখন সুস্থ।

শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী

নিউরো সমস্যা নিয়ে এরপর চিকিৎসা শুরু হবে। চিকিৎসক, নার্সিংস্টাফ সকলের চেষ্টায় এই কর্মকাণ্ড সফল হয়েছে। চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছে শিশুর পরিবার।

Next Article