
নবাবহাট: সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর তার পাশের হোটেলেই রমরমিয়ে মধুচক্রের কারবার চালানোর অভিযোগ। খবর পেতেই হানা দিল পুলিশ। সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। আটক ৫ মহিলা ও ৪ পুরুষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাট সংলগ্ন ১২৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের এলাকায়। এখানেই রয়েছে ওই হোটেল। সম্প্রতি সেখান থেকে দেহ ব্যবসার খবর আসে। তারপরই গানা দেয় বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে ৪ জন পুরুষকে ধরা হয়েছে তাঁদের মধ্যে দু’জন হোটেলের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্র আর কোথাও সক্রিয় কিনা, তাঁদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে হোটেল সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে কথা বলা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও।
ঘটনায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে সুস্মিতা চন্দ বলেন, “এখানে নাবালিকাদের যৌন শোষণ হচ্ছে। সেই খবর আমাদের কাছে আসে। এদিন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে চলে রেইড।” অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হোটেলকে যে অবৈধ কারবার চলছে সেই গন্ধ তাঁরা আগেই পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে তাঁরা খুশি। তবে তাঁরা বলছেন, প্রত্যেক হোটেলে এইভাবে অভিযান চালাতে হবে। অনেকেই হোটেল খুলে বসেছে। কিন্তু ভিতরে কী হচ্ছে তা অনেক সময়ই অজানা থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও আরও অভিযোগ, এই হোটেলের নামও একাধিকবার বদলেছে। তাতেই আরও দানা বাঁধে সন্দেহ।