Bardhaman: পেটের টানে মিষ্টির দোকানে কাজ! একবছরে একটা ছুটি, হঠাৎ বৈদ্যবাটি থেকে ১৭ বছরের ছেলেটার মরদেহ ফিরতেই বাড়ছে রহস্য

Bardhaman: পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, দোকান থেকে বলা হয় কৃষ্ণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। বেলা ১২টা নাগাদ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ পাঠানো হয় কেতুগ্রামের বাড়িতে। সঙ্গে আসে আরও তিন কিশোর।

Bardhaman: পেটের টানে মিষ্টির দোকানে কাজ! একবছরে একটা ছুটি, হঠাৎ বৈদ্যবাটি থেকে ১৭ বছরের ছেলেটার মরদেহ ফিরতেই বাড়ছে রহস্য
শোকের ছায়া পরিবারে, পুলিশ নিয়ে গেল মরদেহ Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 05, 2025 | 8:01 PM

কেতুগ্রাম: মিষ্টির দোকানে কাজে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু এক কিশোরের। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা পরিবারে। মৃতের নাম কৃষ্ণ হাজরা। ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি কেতুগ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, ওই কিশোর কাজ করছিল হুগলির বৈদ্যবাটির এক মিষ্টির দোকানে। মৃতদেহের গলায় দাগ রয়েছে, দু’পায়ের আঙুলে ক্ষত, ফুলে গেছে বাম পা। পরিবারের তরফে খুনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

তাঁর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিতে এসেছিল তিন কিশোর। মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ওই তিন কিশোরের বক্তব্য, জ্বর হয়েছিল কৃষ্ণের। চিকিৎকরের কাছে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে। শরীরে ক্ষত তৈরি হয়েছে নাকি বাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

কৃষ্ণর পারিবারিক অবস্থা ভাল নয়। বাড়ি কেতুগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামে। পেটের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে গত প্রায় এক বছর ধরে বৈদ্যবাটির এক মিষ্টির দোকানে কাজ করছিল। পরিবারের লোকজন বলছেন, এই এক বছরে মাত্র একবারই ছুটি পেয়েছে ওই কিশোর। তারপর আর ছুটি দেওয়া হয়নি। এদিন সকালে ওই দোকান থেকেই পোন করে কৃষ্ণর মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। 

পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, দোকান থেকে বলা হয় কৃষ্ণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। বেলা ১২টা নাগাদ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ পাঠানো হয় কেতুগ্রামের বাড়িতে। সঙ্গে আসে আরও তিন কিশোর। তারাও ওই দোকানে কাজ করে। মৃতদেহের সঙ্গে পাঠানো হয় হাতে লেখা ডেথ সার্টিফিকেট। তাতে হৃদরোগে মৃত্যুর কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু এটাকে কোনওভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটকে দেয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় কেতুগ্রাম থানায়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।