
ভাতার: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দোতলা মাটির বাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পরিবারের ১২ জন সদস্য। সামান্য আহত হয়েছেন দু’জন। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামশোর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এর জেরে মাটির বাড়িটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। দোতালা এই বাড়ির মালিক আজিজুল শা। বাড়িতে ১২ জন সদস্য থাকতেন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, বৃষ্টির ফলে ঘর বসে গিয়েছিল। এদিনও বৃষ্টি হচ্ছিল। সবাই বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ বাড়িটি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। কোনওরকমে সবাই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু, কোনও জিনিসপত্র বের করে আনতে পারেননি। এমনকি, সবে ভাতের হাঁড়ি উনুন থেকে নামিয়েছিলেন পরিবারের এক সদস্য। ভাত ভর্তি হাঁড়ি ফেলেই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালাতে হয় তাঁকে। তবে বাড়ির দুই মহিলা সামান্য আহত হয়েছেন।
বাড়ির মালিক আজিজুল শা বলেন, “আমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে দিই। কিন্তু, বড় মেয়ের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সে এখানেই আছে। আমার কিছু নেই। সরকারি সাহায্য পেলে ভাল হয়।” বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি।
বাড়িতে কয়েকজন নাবালক-নাবালিকাও রয়েছে। তাদের বইপত্র দেওয়াল চাপা হয়ে পড়ে রয়েছে। তাদের পড়াশোনার কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত পরিবারের বড়রা। তার চেয়েও বড় চিন্তা, এখন কোথায় থাকবেন তাঁরা। এদিন দেখা গেল, বৃষ্টির মধ্যে ভাঙা বাড়ির মধ্যেই কোনওরকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পরিবারের ছোট থেকে বড়রা। আজিজুলের বড় বউমা জেবেন্নুসা শা বলেন, এখন প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।