AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digital arrest: ‘আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হল’, প্রতারকদের ফাঁদে বর্ধমানের সাধু

Digital arrest: অশোকবাবুর কথা অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের একটি অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। এরপরই ফাঁদ পাতে প্রতারক। অশোকবাবু জানান, "আমাকে বলা হয়, আমার নামে অনেকগুলি মামলা আছে। এক আধটি নয়, সতেরোটি মামলা।"

Digital arrest: 'আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হল', প্রতারকদের ফাঁদে বর্ধমানের সাধু
সাধক অশোক চক্রবর্তী
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2025 | 2:11 AM
Share

বর্ধমান: ‘আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হল। আপনার কী কী অ্যাকাউন্ট আছে জানান। যেখানে থাকেন ঘুরিয়ে দেখান।’ ফোন এল বর্ধমানের এক সাধুর কাছে। লম্বা জেরার পর্বে পুলিশের পোশাক পরা প্রতারক বুঝতে পারে সাধুর কাছে কিছুই পাওয়া যাবে না। তখন সাধুর কাছে আশীর্বাদ চেয়ে ফোন কেটে দেয়।

এভাবেই সাইবার প্রতারকদের প্রতারণার চেষ্টা সর্বত্যাগী সাধুকেও। আতঙ্কে দিশেহারা পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর তিব্বতি বাবার আশ্রমের আশ্রমিক সাধক অশোক চক্রবর্তী। তিব্বতি বাবার আশ্রমটি বর্ধমান শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে পালিতপুর গ্রামে। জেলার বহু পুরনো আশ্রমগুলির মধ্যে এই একটি অন্যতম । বর্তমানে এই আশ্রমে থাকেন অশোক চক্রবর্তী।

অশোকবাবুর কথা অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের একটি অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। এরপরই ফাঁদ পাতে প্রতারক। অশোকবাবু জানান, “আমার কাছে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আমার নামে অনেকগুলি মামলা আছে। এক আধটি নয়, সতেরোটি মামলা। সেগুলি সবই মহারাষ্ট্রের তিলকনগর থানায়। কিছুক্ষণ পর থেকেই আপনার ফোন আর চলবে না। আমরা ফোন কোম্পানি থেকে কল করছি। এরপর বলা হয়, আপনাকে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে ভিডিয়ো কল করা যেতে পারে?”

সাধুবাবা জানান, হ্যাঁ,নিশ্চয়ই। এরপর অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, আপনি কলে নিজেকেও দেখতে পাবেন। অশোকবাবু বলেন, “কলে দেখা যায়, পুলিশের পোশাক পরে একজন বসে আছেন। তিনি আমায় নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। তার মধ্যে ছিল, আপনার রোজকারের উৎস কী? চলে কী করে? আমি বলি, আমি ভিক্ষেও করি না। আমার কোনও সম্পত্তি নেই। যারা আসে তারা যা দেয় তাতেই আমার চলে।”

এরপরে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়, আপনার কোনও চিন্তা নেই। সাধুবাবার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে ফোন কেটে দেয় প্রতারকরা। সাধু অশোক চক্রবর্তী জানান, তিনি সেই মুহূর্তে অন্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন। যদিও তাঁর হারাবার কিছু নেই। অশোক চক্রবর্তী জানান, “এতটাই কনফিডেন্সে গোটা প্রক্রিয়া চলে আমি ফ্রড কল কি না ভাবার ফুরসতও পাইনি।”