জন্মের ২ দিনেই করোনা আক্রান্ত! ২৪ দিনের লড়াইয়ে করোনাকে হারাল দুধের শিশু

প্রসঙ্গত, এর আগে টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর ১৮ দিনের একটি শিশুর সেরে ওঠার নজির রয়েছে এই বর্ধমানেরই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।

জন্মের ২ দিনেই করোনা আক্রান্ত! ২৪ দিনের লড়াইয়ে করোনাকে হারাল দুধের শিশু
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 11:37 PM

পূর্ব বর্ধমান: মাত্র দু’দিন বয়স। সেই শিশুই করোনা (Corona) আক্রান্ত। তবে জন্মলগ্ন থেকেই সে যেন যোদ্ধা। টানা ২৪ দিনের লড়াইয়ে খুদের কাছে হার মানল করোনাভাইরাস। শিশুর করোনা চিকিৎসায় বড় সাফল্য মিলল বর্ধমানের এক বেসরকারি হাসপাতালে। ২৬ দিন বয়সী শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর ১৮ দিনের একটি শিশুর সেরে ওঠার নজির রয়েছে এই বর্ধমানেরই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।

সদ্যোজাতের বাবা সুজিত ঘোষ জানান, তাঁরা নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। শিশুটির জন্মের পরই তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। ভীষণ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল তার। পরে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে এনআরএস-সহ একাধিক হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পারেননি বলে জানান সুজিতবাবু। অবশেষে শিশটিকে তাঁরা বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। দীর্ঘ ২৪ দিনের লড়াইয়ে অবশেষে কোভিড মুক্ত হল সেই শিশু। এখন সে সুস্থ আছে বলেই পরিবার সূত্রে খবর। জেলার বেসকারি হাসপাতালে এহেন পরিষেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি শিশুটির পরিবার। চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শিশুর বাবা সুজিত ঘোষ।

অন্যদিকে ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ আশরাফুল আলম মির্জা জানান, শিশুটিকে এখানে ভেন্টিলেটর অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা তাঁরাই করে দেন। পরে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়। শিশুটি করোনা পরীক্ষা করেন তাঁরা। করোনা টেস্টের রিপোর্টে বড় ধরণের সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। শরীরে রক্তচাপ খুবই কম ছিল শিশুটির। এই ধরণের কোভিড সংক্রমণের সমস্যা সাধারণত সদ্যোজাতদের হয় না বলে জানান ডাঃ মির্জা। কিন্তু এক্ষেত্রে তাই দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মেয়েকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মাজন বিক্রেতা বাবা 

তিনি আরও জানান, শিশুটির ফুসফুসের অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। তার মায়েরও কোভিড সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। এরপর চিকিৎসার নানা ধাপ পেরিয়ে শিশুটি আজ সুস্থ। এটা একটা বড় সাফল্য মনে করছেন তাঁরা।