পূর্বস্থলী: আরজি কর নিয়ে যখন উত্তাল দেশ তখন মিথ্যা ধর্ষণ ও শারীরিক আঘাতের ইনজুরি রিপোর্ট লিখে দেওয়ার জন্য মহিলা চিকিৎসককে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। তাতে রাজি না হলে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত নারায়ন দাসকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য মহলে।
সূত্রের খবর, গত ২৩ তারিখ সন্ধ্যায় নারায়ন দাস তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসেন পূর্বস্থলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইনজুরি রিপোর্ট তৈরি করতে বলে সোজা ডাক্তারকে বলেন ধর্ষণের রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য। কর্তব্যরত ডাক্তার তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ।
চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ডাক্তারের চেম্বারে ছুটে আসেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ছুটে আসেন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা। তাঁকে দেখেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতালে। সেদিন পুলিশের কাছে না গেলেও ২৪ তারিখ ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এদিন তাঁকে তোলা হচ্ছে কালনা মহকুমা আদালতে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিএমওএইচ শুভ রায় বলছেন, “শুক্রবার ওই যুবক এসেছিলেন ইনজুরি রিপোর্ট লেখানোর জন্য। তিনি চাইছিলেন তাঁর মনের মতো করে রিপোর্ট লেখা হোক। যেটা হয়নি সেই দাবিও করছিলেন। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব! তা লিখে দিতে অস্বীকার করায় আমাদের চিকিৎসকের কাছে দুর্বব্যহার করেন। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”