Court : ধর্ষণের মামলায় দোষীসাব্যস্ত করল আদালত, চলছিল লকআপে ঢোকানার প্রস্তুতি, যা করল আসামি…

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 07, 2023 | 1:12 PM

Court : ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে কেতুগ্রাম থানা এলাকার বিশেষভাবে সক্ষম এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই আসামির বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

Court : ধর্ষণের মামলায় দোষীসাব্যস্ত করল আদালত, চলছিল লকআপে ঢোকানার প্রস্তুতি, যা করল আসামি...
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কাটোয়া : ভরা এজলাসেই চলছিল শুনানি। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। কিন্তু, ঠিক তারপরেই আদালত চত্বরে যা ঘটল তা স্বপ্নেও ভারতে পারেননি কেউ। দিনে-দুপুরে আদালত (Court) চত্বরে যা ঘটল তা হার মানাবে সিনেমার (Cinema) চিত্রনাট্যকেও। বিচারকের মুখে ধর্ষণের রায় শোনার পরেই কোর্ট থেকে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালাল আসামি। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও হদিস মেলেনি আসামীর। এই ঘটনায় কাটোয়া (Katwa) মহকুমা আদালতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে তার পিছনে কয়েকজন ছুটলেও তার নাগাল পাওয়া যায়নি। চোখের পলকে আদালত চত্বর থেকে গা ঢাকা দেয় আসামি। বর্তমানে তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে কেতুগ্রাম থানা এলাকার বিশেষভাবে সক্ষম এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত জীতেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। 

একমাসের উপর কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত ছিল সে। ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে। শুক্রবার ছিল আদালতে রায় ঘোষণার দিন। দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধরের এজলাসে আইনজীবীকে সঙ্গে করে অভিযুক্ত হাজির হয়। বিচারক আসামিকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এরপর তাঁকে লকআপে ঢোকানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই এজলাসের অন্যান্য কর্মীদের অন্যমনস্কতার সুযোগে এজলাস ছেড়ে চম্পট দেয় সে। 

পলাতক আসামির আইনজীবী নির্মল মণ্ডল বলেন, “একটা ধর্ষণের মামলায় ও আজ ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়। শুনানির পর ওকে লকআপে ঢোকানো হচ্ছিল। তখনই ও পালিয়ে যায়। তবে যখন ও পালায় আমি তখন ছিলাম না। সাজা ঘোষণার পরেই আমি কোর্ট থেকে চলে এসেছিলাম। কাল সাজা ঘোষণার কথা আছে। এ ধরনের কেসে সর্বনিম্ন সাজা হয় ১০ বছর। সর্বোচ্চ সাজা হয় যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড। কাল এই বিষয়ে কোর্টে রায় ঘোষণার কথা আছে। আমি আসামির বাবাকে এনে দিয়েছি। পুলিশের কাছে আছেন তিনি।”

Next Article