Burdwan: ‘মদ খেয়ে এসে শ্বশুর, স্বামী বলবে স্নান করিয়ে দিতে, খাইয়ে দিতে’, মারাত্মক অভিযোগ বাড়ির বউয়ের

Domestic Violence: ভাতার থানার সামনে বসে বাড়ির বউয়ের চোখের জল মানছে না। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা। ডাংয়ের বারি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শ্বশুর ও স্বামী। কাঁদতে কাঁদতে ওই বধূ বলেন, “এত বড় মেয়েদের নিয়ে আমি কোথায় যাব? ওরা পড়াশোনা করে। আমার জীবনটা তো নষ্ট হয়েই গিয়েছে। আমার মেয়েগুলোর জীবনও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মদ খেয়ে এসে মারে।"

Burdwan: 'মদ খেয়ে এসে শ্বশুর, স্বামী বলবে স্নান করিয়ে দিতে, খাইয়ে দিতে', মারাত্মক অভিযোগ বাড়ির বউয়ের
ভাতার থানা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2024 | 12:02 AM

পূর্ব বর্ধমান: মদ খেয়ে এসে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির মেয়ে-বউ, বাচ্চাদের ধরে মারে। দিনের পর দিন এক অশান্তি। শুক্রবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বাড়ির এক বউয়ের। চোখ ফুলে ঢোল বাড়ির ছোট্ট মেয়েটির। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার ঘটনা। ভাতার থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। একটাই দাবি, বাড়ির পুরুষগুলোকে শুধরে সংসারটা যেন বাঁচিয়ে দেয় প্রশাসন।

ভাতার থানার সামনে বসে বাড়ির বউয়ের চোখের জল মানছে না। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা। ডাংয়ের বারি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শ্বশুর ও স্বামী। কাঁদতে কাঁদতে ওই বধূ বলেন, “এত বড় মেয়েদের নিয়ে আমি কোথায় যাব? ওরা পড়াশোনা করে। আমার জীবনটা তো নষ্ট হয়েই গিয়েছে। আমার মেয়েগুলোর জীবনও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মদ খেয়ে এসে মারে। আমাকে মেরেছে। মেয়েটার চোখটা শেষ করে দিতে গিয়েছে।”

এখানেই শেষ নয়। ওই বধূর কথায়, মদ খেয়ে এসে নিয়মিত মারধর করেন স্বামী, শ্বশুর। রেহাই পান না শাশুড়ি থেকে বাড়ির খুদে সদস্যরাও। আক্রান্ত বধূর অভিযোগ, “ওরা মদ খেয়ে আসবে, আমাদের যত্ন করতে হবে। স্নান করিয়ে দিতে হবে, খাইয়ে দিতে হবে। বাঁশ দিয়ে মেরেছে। থানায় অভিযোগ করলাম। আজ সকালেও শ্বশুর এসে হুমকি দিয়েছে।”

আক্রান্ত বধূর কথায়, বিয়ের পর থেকেই এমন অবস্থা বাড়িতে। ভেবেছিলেন বাচ্চা হয়েছে, এবার বোধহয় পরিস্থিতি বদলাবে। কোথায় কী! আরও বাড়াবাড়ি এখন। তবু মুখ গুঁজে স্বামীর ঘরে পড়ে আছেন। বলেন, “ছেলেমেয়ে হয়েছে, কোথায় গিয়ে থাকব আমরা?”

আরও অসহায় ওই বধূর শাশুড়ি। ছেলেদের এমন অত্যাচার সইতে পারছেন না, অথচ তিনি মা। ছেলেদের শাস্তি পেতে দেখবেন ভাবলেও মন ভারী হচ্ছে। ওই মহিলার কথায়, “রোজগার করে টাকা দেবে না। সংসারে সবসময় অশান্তি করে। খালি বলবে রোজগার করি, টাকা দিই। অথচ মদ খেয়েই সব উড়িয়ে দেয়। এদিনও মদ খেয়ে এসে বসে রইল। রান্না বসাব। হঠাৎ ছুটে এসে আমার স্বামী বলছে গলাটা কেটে ফেলব। লাঠি নিয়ে মারতে গেলে আমি পালিয়ে যাই। কিন্তু ছেলের বউটা, নাতি, নাতনির লেগেছে। আমি মা, পারি কি ছেলেদের শাস্তি দেখতে? কিন্তু আমাদেরও তো বাঁচতে হবে। তাই থানায় আসা।”