Murder Case: ‘মা কোনওদিন বাবাকে শান্তি দেয়নি’, স্বামী খুনে নাম জড়াল স্ত্রীর
Galsi: স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ ও শ্রীমতীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ সন্তোষ রেশন এনে কাঠের দোকানে গিয়েছিলেন। এরপর ৯টা নাগাদ দোকানের বাইরে টিনের উপরে আহত অবস্থায় সন্তোষকে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
পূর্ব বর্ধমান: দাম্পত্য কলহে ভয়াবহ ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। অভিযোগ, গ্যাসের ছোট সিলিন্ডার তুলে তা দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন মহিলা। পূর্ব বর্ধমানের গলসি-২ ব্লকের ভুঁড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের কালীমোহনপুর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সন্তোষকুমার মজুমদার ওরফে সুনীল (৬২)। ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রীমতি মজুমদারকে আটক করেছে গলসি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, শ্রীমতী আইসিডিএস কর্মী।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ ও শ্রীমতীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ সন্তোষ রেশন এনে কাঠের দোকানে গিয়েছিলেন। এরপর ৯টা নাগাদ দোকানের বাইরে টিনের উপরে আহত অবস্থায় সন্তোষকে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্ত্রীকে খবর দেওয়া হলেও আসেননি। এরপরই সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা চাপ দিতে থাকেন। অভিযোগ, শ্রীমতি স্বীকারও করেন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নিহতের মেয়ে শর্মিলা বিশ্বাস বলেন, “আমার মা কোনওদিন বাবাকে শান্তি দেয়নি। খুব অত্যাচার করত। মারধর করত। আমাকেও মা কোনওদিন শান্তি দেয়নি। বিয়ে করেও শান্তি পাইনি। আমি চাই মায়ের শাস্তি হোক।” নিহতের বৌমা সায়নী মজুমদার বলেন, “শ্বশুর সকালে রেশনও আনে। আমরা ঘরে কাজ করছি। হঠাৎ পাড়ার একজন বলল শ্বশুরমশাই শুয়ে আছেন। ছুটে গিয়ে দেখি মরে পড়ে আছেন। আগে ঝামেলা হয়েছে তবে আজ তো কোনও ঝামেলার কথা শুনিনি।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ ঘোষের কথায়, “স্ত্রী স্বামীকে মেরে ফেলেছে বলে খবর যায়। শুনলাম যিনি মারা গিয়েছেন কাঠের কাজ করতেন। নিরীহ লোক। সিলিন্ডার দিয়ে মেরেছেন বলে শুনলাম। গলসি থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছে। মৃতদেহও উদ্ধার করেছে। তদন্ত করে অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।”