INTTUC Office: বর্ধমানে বুলডোজ়ার চলল, শুধু তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস বাদ

Burdwan: বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, "সবটাই বিবেচনার মধ্যে আছে। শ্যামসায়র সংস্কার হবে। কিছুই থাকবে না। আইএনটিটিইউসির অফিস বা পার্টি অফিস কিছু না, পুকুরপাড়, হাসপাতালের সামনেটা পরিষ্কার হবে। এক দিনে সব কাজ শেষ হবে না। কয়েকদিনের মধ্য়েই সব কাজ হবে। অভিযোগটা আর থাকবে না।"

INTTUC Office: বর্ধমানে বুলডোজ়ার চলল, শুধু তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস বাদ
আইএনটিটিইউসির অফিসের পাশেই দোকান ভাঙা চলছে।Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 01, 2024 | 7:15 PM

পূর্ব বর্ধমান: বুলডোজ়ার চলেছে, তবে অতি সন্তর্পণে। অভিযোগ, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের যে কার্যালয়, তাতে বুলডোজ়ারের ছোঁয়া পর্যন্ত লাগেনি। এই অভিযোগকে সামনে রেখে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এলাকায় হারের ফলে রাগের প্রতিশোধ তুলছে তৃণমূল। তাই সাধারণ মানুষের দোকান ভাঙা হলেও দলের কার্যালয়ে হাত পড়ছে না। বর্ধমান শহরের এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই বর্ধমানের পুরপিতা পরেশচন্দ্র সরকারের যুক্তি, “সবই ভাঙা হবে। আজ হয়নি, কিন্তু পরের দিন সবটাই ভেঙে ফেলা হবে।”

বৃহস্পতিবার বেআইনি দখল উচ্ছেদে নামে প্রশাসন। মাসখানেক আগে বেআইনি দোকান তুলে নিতে নোটিসও দিয়েছিল বর্ধমান পুরকর্তৃপক্ষ। এদিন শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড় থেকে শুরু করে শ্যামলাল, বাবুরবাগ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালের কাছের রাস্তাগুলি থেকে হকার ও দখলদারদের উচ্ছেদ শুরু করে পুরসভা। উচ্ছেদ অভিযানে নামানো হয় দু’টি জেসিবি।

শ্যামলাল, বাবুরবাগের পর বর্ধমান হাসপাতালের সামনে শ্যামসায়র পারে ফুটপাতে দোকানপাট ভাঙতে যায় প্রশাসন। অভিযোগ, সেখানে দোকানপাটে জেসিবি চললেও ফুটপাত দখল করে থাকা শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস অক্ষতই রয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, লক্ষ্য যদি ফুটপাত দখলমুক্ত করাই হয়, তাহলে আইএনটিটিইউসির কার্যালয় রয়ে গেল কীভাবে?

বিজেপির জেলা মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, “সাধারণ মানুষের দোকান ভেঙে দিচ্ছে। আসলে পুরসভাগুলোতে হেরে যাওয়ায় আক্রোশ থেকে এগুলো করছে। তাই ওদের দলের কার্যালয় বা ওদের শ্রমিক সংগঠনের অফিসগুলো বাদ থাকছে।”

যদিও বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, “সবটাই বিবেচনার মধ্যে আছে। শ্যামসায়র সংস্কার হবে। কিছুই থাকবে না। আইএনটিটিইউসির অফিস বা পার্টি অফিস কিছু না, পুকুরপাড়, হাসপাতালের সামনেটা পরিষ্কার হবে। এক দিনে সব কাজ শেষ হবে না। কয়েকদিনের মধ্য়েই সব কাজ হবে। অভিযোগটা আর থাকবে না।”