Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকা থেকে ‘অযোগ্যদের’ বাদ দেওয়ায় আশা কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 17, 2022 | 4:05 PM

Awas Yojana Scheme: পূর্ব বর্ধমানের হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রুস্তমপুর এলাকার ঘটনা। সেখানে আবাস যোজনা ঘরের সার্ভের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আশা কর্মী আনসুরা বিবি।

Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকা থেকে ‘অযোগ্যদের’ বাদ দেওয়ায় আশা কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি
আশা কর্মীর মেয়ে শামিনুর খাতুন (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কালনা: গোটা রাজ্য তোলপাড় আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ায় আশা কর্মীর বাড়ি ঘেরাও, এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।

পূর্ব বর্ধমানের হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রুস্তমপুর এলাকার ঘটনা। সেখানে আবাস যোজনা ঘরের সার্ভের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আশা কর্মী আনসুরা বিবি। তাঁকে ৪২ টি ঘরের সার্ভের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১৮টি নাম কেটে বাদ দেন তিনি।

অভিযোগ, এরপর শনিবার সকালে প্রায় ৪০-৫০ জন এসে কেন তাঁদের ঘরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উনুন থেকে ভাতের হাড়ি নামিয়ে দেন তাঁরা, ফসল নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকী ওই আশা কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিতে থাকেন। সেই সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন আনসুরা বিবির মেয়ে শামিনুর খাতুন। মা-কে এইভাবে হেনস্থা হতে দেখে ভয় পেয়ে যান তিনিও। অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্ঞান হারিয়ে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিগৃহীত আশা কর্মী আনসুরা বিবি বলেন, “৪২টা ঘর সার্ভে করার জন্য বলা হয়েছিল। যার মধ্যে আঠারটি ঘরের নাম বাদ দিয়েছি। আর এরপরই আজ সকালে বাড়িতে ৪০-৫০ জন এসে কেন তাদের ঘরের নাম বাদ দিয়েছি, এই বলে প্রশ্ন করতে থাকে। উনুন থেকে ভাতের হাড়ি নামিয়ে দেয়, ফসল নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেয়।” এরপর তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে দেখে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওকে কালনা হসপিটালে ভর্তি করি।”

এই ঘটনা এলাকার বিডিও সেবন্তি বিশ্বাসকেও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। অসুস্থ আশা কর্মীর মেয়ে শামিনুর খাতুন বলেন, “আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।” অপরদিকে এ বিষয়ে কালনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও সেবন্তি বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

Next Article