দাইহাট: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক (Physical Relation) তৈরির জন্য তরুণীকে কুপ্রস্তাব। অভিযুক্ত দাইহাট পুরসভার পুরপ্রধান। তরুণী ও পুর প্রধানের কথোপকথনের অডিয়ো ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাইরে এসে যাওয়ায় তা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই সমস্ত রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান শিশির কুমার মণ্ডল। তাঁর সাফ দাবি, পুরো ঘটনাই সাজানো। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এদিকে একবার নয়। সূত্রের খবর, একাধিকবার চাকরির দাবিতে পুরপ্রধানকে ফোন করেন ওই তরুণী। তাঁকে শুরুতে বায়োডেটা জমা দিতেও বলেন পুরপ্রধান। এরপর সরাসরি সহবাসের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাঝেই ভিডিয়ো কলও করতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করলে একাধিকবার চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে স্পষ্টতই জানিয়ে দেন চাকরি পেতে করতে হবে সহবাস। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে একটি হোটেলে তরুণীকে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তাব দিতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী ভিডিয়োতে জিভ বের করে নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
যদিও সমস্ত অস্বীকার করে পুরপ্রধান শিশির কুমার মণ্ডল বলেন, “আমার পিছনে কেন লাগছে আমি জানি না। ওখানে যে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা হচ্ছে ওই গলাটা আমার নয়। আমি ওই মেয়েকে চিনি না। ভিডিয়ো কলও সাজানো। টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে এটা করা হয়েছে। এলাকার অনেকেই কাজ দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু, কাউকেই কখনও এ ধরনের কথা বলিনি। আমাকে কালকে এক দলীয় সহকর্মী ঘটনার কথা জানায়। দেখে নিজের এত লজ্জা লাগল কী বলব। আমি বুঝতে পারছি এটা রাজনৈতিক যড়যন্ত্র। এর পিছনে বিরোধীদেরও হাত থাকতে পারে।”
এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। শিশির কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এলাকার বিজেপি নেত্রী বিনীতা বড়াল বলেন, “এর থেকে নোংরা ঘটনা আর কী হতে পারে। আমরা এর নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”