বর্ধমান: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। এছাড়াও সাজাপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই সাজা ঘোষণা করেছেন। মামলার সরকারি আইনজীবী সুদর্শনা ঘোষ বলেন, “বিচারক নির্যাতিতাকে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।”
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানে গৃহবধূর বাড়ি। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কালীপুজোর সময় গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গৃহবধূকে তাঁর বাড়িতে প্রসাদ খাবার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারপর সেখানে মুখ চেপে ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে সে পালিয়ে যায়। দরজা খুলে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন গৃহবধূ। এরপর ৫ই নভেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষণের মামলা রুজু করে ৬ নভেম্বর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তদন্ত সম্পূর্ণ করে চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই বছরেরই ২৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জ গঠন হয়।
এরপর মঙ্গলবার আদালত সাজা ঘোষণা করে। যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিষ্টু প্রসাদ শীল জানিয়েছেন, “এই কেসের তেমন কোনও এভিডেন্স নেই। মেডিকেল ও ফরেন্সিক পরীক্ষায় কিছু প্রমাণ হয়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যেতে চাই। আসামীর আর্থিক সঙ্গতির উপর তা নির্ভর করবে।” এদিন আদালত থেকে বেরোবার সময় তিনি কিছুই বলতে চায়নি সে।