পূর্ব বর্ধমান : ‘ভালভাবে চলছে দল। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের পছন্দ হচ্ছে নয়। তাই তিনি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, নেতা হওয়া এত সহজ নয়।’ আবারও বিস্ফোরক রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Minister Siddiqullah Chowdhury)। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহত কর্মীদের দেখতে আসেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। হাসপাতালে এসে তিনি সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর তিনি ওয়ার্ডে যান। সেখানে ভর্তি থাকা হানান শেখ-সহ অন্যান্যদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি বলেন, “দু’জন অসুস্থ থাকা সত্বেও তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যেও রাজনীতি আছে।” পাশাপাশি তিনি এদিন মেমারি থানার পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “যাঁরা অপরাধী তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তারা তো আশেপাশেই আছে। কেউ তো আর লন্ডনে পালিয়ে যায়নি। অভিযুক্তদের ধরতে হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়ি, ঝিকরা সহ একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বাকযুদ্ধে বাড়তে থাকে চাপানউতর। দুই তৃণমূল নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক জখম হন। পাঁচ জন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে ধৃতরা সবাই মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামী।
এদিন ফের একবার মহম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “গত ১২ মার্চ মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়িতে দলীয় সভা ছিল। সেই সভা থেকে কর্মীরা ফেরার পথে বারোয়ারী গ্রামে প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামীরাই রড, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।” এদিন তিনি আরও বলেন, “আমি ৩২ হাজার ভোটে জিতেছি মন্তেশ্বর থেকে। সুতরাং কে ঘেউ ঘেউ করছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল দল সর্বজনীন। যে কেউ দলে গিয়ে ঝাণ্ডা ধরতে পারে।”