পূর্ব বর্ধমান : বালি পাচারের নয়া কৌশল মাফিয়াদের। বিশ্ব বাংলার নকল লোগো ছাপিয়ে বালি পাচারের (sand smuggling) অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান জেলাতে। এই নিয়ে সব থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সম্প্রতি বালি পাচার রুখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ওভারলোডেড ট্রাক আটকাতে অভিযান চালাচ্ছে পরিবহন দফতর (Transport Department)। এদিন শক্তিগড়ে একটি বালি ভর্তি ওভারলোডেড ট্রাক আটকান পরিবহন দফতরের আধিকারিকরা। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়। যদিও সে দাবি করে, ট্রাক নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে তাঁর কাছে। দেখায় একটি কুপন। তাতে বিশ্ববাংলা লোগোর পাশাপাশি ‘ ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহন ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’ লেখা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটা ব্যাপারটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি। বিষয়টি পরিবহন দফতরের শীর্ষ কর্তাদেরও জানানো হয়। আশেপাশের জেলাকে সতর্ক করা হয়। সতর্ক করা হয়েছে সব থানাকেও। জানা গিয়েছে, বীরভূমের ইলামবাজার থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল ট্রাকটি।
এই নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহল। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, “এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ববাংলা লোগো দুর্নীতির প্রতীক, তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল।” কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তিনি দাবি করেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে শাসকদলের মদতে।
অন্যদিকে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু জানান, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা স্পষ্ট জানান, “এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ আদায় হয়। আমরা বেআইনি বালির বিরুদ্ধে সবসময় কড়া পদক্ষেপ নিই। বিশ্ববাংলা লোগো লাগিয়ে অবৈধ কাজ আইন মেনে নেবে না। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না।প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”