
কাটোয়া: শুনানির আগেই নিখোঁজ বিএলও। গত দু’দিন ধরে মিলছে না খোঁজ। বাড়িতেই পড়ে রয়েছে বিএলও-র পরিচয় পত্র। বিভিন্ন এসআইআর (SIR) সংক্রান্ত কাগজপত্রও পড়ে রয়েছে। এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার জনশুনানির আগেই বিএলও-র নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিএলও-র খোঁজে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতাও।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের বিকিহাট এলাকার বাসিন্দা অমিত কুমার মণ্ডল। তিনি পেশায় শিক্ষক। কেতুগ্রামের উদ্ধারনপুর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কাটোয়া বিধানসভার ২৩ নম্বর বুথের বিএলও (BLO)-র দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ বাজার থেকে বাড়ি ফিরে মোটরবাইকটা রেখে আবার বেরোন ওই বিএলও। বাড়িতে বলে যান বিএলও মিটিং আছে বলে। বিকেল পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার।
খোঁজ শুরু করতে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, বাড়িতেই পড়ে রয়েছে অমিত কুমার মণ্ডলের মোবাইল, বিএলও-র পরিচয় পত্র ও এসআইআর সংক্রান্ত কাগজপত্র। পরিবারের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ওই ব্যক্তির খোঁজ করা হয় বিভিন্ন জায়গায়, আত্মীয়দের বাড়িতেও। ওই দিনই রাতে কাটোয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে। তিন দিন হতে চলল, এখনও কোনও খোঁজ নেই।
কীভাবে অমিত কুমার মণ্ডল নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। নিখোঁজ হওয়ার কারণ নিয়ে পরিবারও রয়েছে ধোঁয়াশায়। কারণ অজানা। তবে এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সবাই। পরিবারের দাবি, বিএলও দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একটু চাপে ছিলেন।
অমিত কুমার মণ্ডলের ২৩ নম্বর বুথে ৬৪১ জন ভোটার রয়েছেন। শুনানির জন্য ৩৩ জন ভোটারের নোটিস বিলি করেছেন তিনি। মাত্র দু’দিন পর থেকেই শুনানি শুরু হবে। সেখানে বিএলও হিসেবে অমিত কুমার মণ্ডলের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার আগেই তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিড়ম্বনায় প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে কাটোয়া মহকুমাশাসক অনির্বান বসু সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।